।। প্রথম কলকাতা ।।
Narendra Modi America Visit: যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদি ম্যাজিক। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ কি কি পেল ভারত? ‘উই দ্য পিপল’ শব্দবন্ধে জুড়ে থাকা দুটো দেশ আরও কাছাকাছি এলো কিভাবে? কোন কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হলো এই দুই দেশ? কোন কোন ডিলে লাভের মুখ দেখবে ভারত? ছক্কা হাঁকালো গুজরাট, ভারত পাবে টেসলা। আরো চমক আছে, এই তো সবে শুরু। ২০২৫ এ ভারত যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ছাপ পড়বে চাঁদেও। নয়া দিল্লী দ্ধওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক হবে আরো জবরদস্ত, ধৈর্য ধরুন। স্পেশাল ইনভিটেশনে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রটোকল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর সেরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেস টু ফেস বৈঠকে, মোদী বাইডেন কী পেলেন কী দিলেন? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। জেনে রাখুন দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি, সমঝোতা সই ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর, দুদেশের মধ্যে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই সামরিক।
যেমন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটর্স সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড মানে হ্যালের সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনও দেশকে যা দেয়নি। এই জেট ইঞ্জিন ভারতীয় বিমানবাহিনীকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, তিনটে মার্কিন সেনা কমান্ডে যোগাযোগকারী অফিসার নিয়োগ করবে ভারত। গোয়েন্দা ইনফরমেশন বিনিময় বাড়ানোর জন্য মূলত এই সিদ্ধান্ত। আর? ভারতকে আমেরিকা যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে অস্ত্র দিতে পারে সেইজন্য সিনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল এনেছেন কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য। অর্থাৎ, ভারতকে যে আমেরিকা গুরুত্বের তালিকার একেবারে প্রথম দিকে রেখেছে সেটা বলে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে, শুধু সামরিক নয়, অন্য এক চুক্তি অনুযায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদক কোম্পানি মাইক্রন বেছে নিয়েছে গুজরাট কে। হ্যাঁ, গুজরাটে তৈরি হবে চিপ তৈরির কারখানা, তাতে ২৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। তাছাড়া, টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক আগেই জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি ভারতে টেসলা গাড়ি তৈরির কারখানা করবেন না, শেষ নয়।
ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই রাজি। ভারতে দুটো নতুন কনস্যুলেট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি আহমেদাবাদে, আরেকটা বেঙ্গালুরুতে। শুধু, পৃথিবী নয়। ২০২৫ এর মধ্যে দুই দেশের ঘনিষ্ঠতার ছাপ পড়বে চাঁদেও। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফের মানুষ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতও তাতে সামিল হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতের একজন মহাকাশচারী পাঠাবে তাঁর দেশ। এছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক পোক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশ। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই বাণিজ্য বাড়াবে! ২০১৪ সালের তুলনায় ২০২২-এ বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। সেটা আরও বাড়ানো হবে সময়ের সাথে সাথে। মোদ্দা কথা, যুক্তরাষ্ট্রে মোদির সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর, খনিজ সম্পদ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সামরিক ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছেন মোদি। যা নিয়ে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে নমোর প্রশংসার ঝড়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম