।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan’s New Army Chief: পাকিস্তান পাচ্ছে নতুন সেনাপ্রধান। বেশ কয়েকশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জল্পনা এবং গুজবের পর ২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘোষণা করলেন নতুন সেনাপ্রধানের নাম। এই পদে নিযুক্ত হবেন জেনারেল আসিম মুনীর (General Asim Munir)।
পাকিস্তানের প্রথম সারির গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এর সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনীরের নাম ঘোষণা হয়েছে। চলতি মাসের শেষেই অবসর নেবেন দেশটির বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তার আগেই পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করল নতুন সেনাপ্রধানের নাম। কামার জাভেদ বাজওয়া ২০১৬ সাল থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এর মাঝেই তীব্র জল্পনার ঝড় ওঠে যে পাকিস্তান সরকার হয়ত খুব দ্রুত নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করবেন। সেই গুঞ্জন সত্যি হল ২৪শে নভেম্বর।
এই দৌড়ে বহুজনের নাম ছিল। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ঘোষণা করেছেন, আসিম মুনীর দেশের পরবর্তী সেনাপ্রধান হবেন। বর্তমানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনীর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে তিনি জেনারেলদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র ছিলেন। জেনারেল বাজওয়ার অবসর নেওয়ার দুই দিন আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে তার মেয়াদ ২৭শে নভেম্বর শেষ হবে। তবে এখন তিনিই হবেন পরবর্তী সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম এর আগে আইএসআই ডিজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট থেকে এসেছেন।
মরিয়ম আওরঙ্গজেব আরো বলেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি সৈয়দ আসিম মুনীরকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
কীভাবে হয় নির্বাচন?
পাকিস্তানের সংবিধানের অধীনে, রাষ্ট্রপতি নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করেন তবে এটি একটি আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা। কারণ রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য। এর অর্থ বাস্তবে বাহিনী প্রধান নির্বাচনের অধিকার শুধু প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি শক্তিশালী সংস্থা যা বেশিরভাগ সময় নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার অবসর নেওয়ার কয়েকদিন আগে পর্যন্ত নতুন সেনাপ্রধানের নামকে কেন্দ্র করে সাসপেন্স ছিল।
নিয়ম হল সিনিয়র জেনারেলদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই নামগুলি পর্যালোচনা করে। এই নামগুলি প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী আরও নাম চাইতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নাম নির্ধারণ করলে, সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। যাতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করতে পারেন। শাহবাজ শরীফও তাই করেছেন। সামগ্রিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচন হয়। কিন্তু পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপের ইতিহাসের দিকে তাকালে বলা যায়, পাকিস্তানে সেনাপ্রধান শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয় না, বরং তা রাজনৈতিক নির্বাচন। জ্যেষ্ঠতার নিয়ম উপেক্ষা করে জুনিয়র জেনারেলকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে অনেকবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম