।। প্রথম কলকাতা ।।
Rath Yatra: পুরীতে উল্টোরথের দিনেই বাড়ি ফেরেন জগন্নাথদেব। কিন্তু জানেন কি? মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরও কেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম প্রবেশ করার অনুমতি পান না মূল মন্দিরে? মা লক্ষ্মী রেগে কী করেছিলেন জানেন? পুরীতে উল্টোরথের পরও তিনদিন ধরে পালন হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। জগন্নাথদেবের রসগোল্লা উৎসব কী হয় জানেন? জগন্নাথদেবের উল্টোরথযাত্রার পরও রয়েছে নানা নিয়ম যা জানেন না অনেকেই। মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরও জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম প্রবেশ করেন না মূল মন্দিরে। আসলে মাসির বাড়ি থেকে ফিরে সহজে জগন্নাথদেব মূল মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পান না। কেননা অভিমান করে থাকেন স্বয়ং মা লক্ষ্মী। অগত্যা তিন ভাই বোনকে শ্রীমন্দিরের সামনে তিনদিন ধরে অপেক্ষা করতে হয়! স্ত্রীয়ের রাগ ভাঙাতে কী কী করেছিলেন জগন্নাথদেব?
আসলে মাসির বাড়ি থেকে ফিরেও পুরীর মূল মন্দিরে ঢুকতে গেলেই লক্ষ্মী দেবী সটান মুখের উপর দুম করে দরজা বন্ধ করে দেন, কারণ তিন ভাইবোন মাসির বাড়ি থেকে আনন্দ করে এসেছেন অথচ তাঁকে নিয়ে যাননি। অভিমানী লক্ষ্মী দেবী এই কয়দিন একা একা শ্রীমন্দিরে ছিলেন। সেই থেকে তিন দিন এরকম ভাবেই বাইরে থাকে রথ সহ বিগ্রহ। এই তিন দিন পালিত হয় কিছু অনুষ্ঠান। রীতিমত ধূমধাম করে অনুষ্ঠান করে তবেই জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে মন্দিরের রত্নবেদিতে একাদশী তিথিতে জগন্নাথ সহ সুভদ্রা-বলরাম ও সেজে ওঠেন নানা সোনার গয়নার সাজে। পুনর্যাত্রার পর একাদশী তিথি তে পালিত হয় এই সোনাবেশ অধরপনা উৎসব। পালন হয় দ্বাদশীর সন্ধ্যায়।
এই রীতি অনুযায়ী জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানোর পালা চলে। এরপর স্ত্রীর মানভঞ্জনের জন্য বুদ্ধি করে এক হাঁড়ি রসগোল্লার আয়োজন করেছিলেন জগন্নাথদেব। দেবী লক্ষ্মীর মান ভাঙে ওই রসগোল্লা খেয়েই অবশেষে স্বামীকে ঘরে ঢোকার অনুমতি দেন তিনি। আষাঢ় মাসের শুক্লা ত্রয়োদশীতে নীলাদ্রি বিজয় উৎসবের অন্যতম রসগোল্লা উৎসব ত্রয়োদশীর দিন ভোগ হিসাবে জগন্নাথদেবকে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা নিবেদন করা হয়। আসলে এই মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়। লক্ষ্মীদেবীকেই দেবী লক্ষ্মীর মান ভাঙিয়েই তো ঘরে ফিরতে হবে প্রভু জগন্নাথকে। সেই থেকে ত্রয়োদশীতে তাই রসগোল্লা উৎসবে মেতে ওঠে ওড়িশা।
আসলে গুণ্ডিচা মন্দিরে আদর-যত্নে ৭ দিন কাটে তিন ভাইবোনের। কিন্তু এই মাসির বাড়ি গিয়েই একটা গোলমাল বাধিয়ে ফেলেছিলেনন স্বয়ং প্রভু জগন্নাথ। মাসির বাড়ি তিনি নিয়ে যাননি স্ত্রী দেবী লক্ষ্মীকে। সেই থেকে এত অনুষ্ঠানের শুরু। সবশেষে নীলাদ্রিবিজয় উৎসবের মাধ্যমে শেষ হয় এই সমস্ত রীতি রেওয়াজ। এভাবেই বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের পর জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে মন্দিরে মূল রত্নবেদিতে তোলা হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম