।। প্রথম কলকাতা ।।
Ukraine: সাহায্যের নামে কি ইউক্রেনকে এভাবেই ঠকাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? সত্যিই কি বিকল অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল শুরু। টাকা দিয়েও অস্ত্র পাচ্ছে না ইউক্রেন। কোন সংকটের মুখোমুখি জেলেনেস্কি? কেন পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্র মেরামত করে চালাতে হচ্ছে ইউক্রেনকে? বন্ধুত্বের চির ধরাতে পারে এই ধরনের অভিযোগ। মুখ খুলতে নারাজ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সামরিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, গোলাবারুদের গুদাম, আর্টিলারি ইউনিটে আঘাত করেছে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র, কামানের গোলা। দিনের পর দিন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে। ঠিক এমন সময় সামনে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিত্র দেশগুলোর তরফে নিরাপত্তা সহযোগিতার নামে পাঠানো সমরাস্ত্রগুলো শুধু অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ হিসেবে ব্যবহারের যোগ্য। সেভাবে বলতে গেলে যুদ্ধের কাজে লাগছে না।
পশ্চিমা মিত্রদের পাঠানো নিরাপত্তা সহযোগিতায় আধুনিক অস্ত্র ছিল মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যা রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে মিত্রদের পাঠানোর অস্ত্র ব্যাপকভাবে মেরামতের প্রয়োজন পড়েছে। অদ্ভুত শোনালেও এটাই বাস্তব। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের সময় এরকম হলে খুব বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। এমনও হয়েছে, বিকল অস্ত্র পাঠানো হয়েছে মেরামত করতে। ইউক্রেন সরকারের নথিতে দেখা গেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি অস্ত্র বিক্রেতাকে ১৯.৮ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে ৩৩ টা হাউইটজার মেরামতের জন্য। জানুয়ারির মধ্যে ১৩টি ইউক্রেনে পাঠানো হয়। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে সেগুলো যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। এরপর, কিয়েভের কর্মকর্তারা ওই মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে ঠিকঠাক মেরামত করতে না পারায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। যদিও, ওই কোম্পানি পাল্টা দাবি করে যখন ওগুলো পাঠানো হয়েছিল মেরামতের পর, তখন সবগুলো কাজ করছিল। কিন্তু, ইউক্রেন উপযুক্ত ভাবে হাউইটজার রক্ষণাবেক্ষণ করেনি।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বেশিরভাগ সময় ভঙ্গুর বা বিকল সরঞ্জাম নিয়ে অভিযোগ করতে চাননি, কারণ ওগুলো উপহার। আর এতে অস্ত্রদাতারা বিব্রত অবস্থায় পড়তে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু, তারপরেও বিষয়টা সামনে এসেছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে ইউক্রেন সরকার ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। কারণ, পর্যাপ্ত পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলা হলেও এগুলোর অধিকাংশ খারাপ বা ব্যবহার অনুপযোগী। লড়াইয়ে ব্যবহার করা যায়নি, যন্ত্রাংশ হিসেবে কাজে লাগাতে হয়েছে কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কিনতে কম টাকা তো খরচ করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ শুরুর পর অস্ত্র কিনতে ঠিকাদারদের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি টাকা দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি অনুসারে সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্ত্রও পায়নি দেশটা। কিয়েভে অস্ত্র কেনার সঙ্গে জড়িত দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুরুতে না পাওয়া অনেক অস্ত্র শেষ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বসন্তের শুরু পর্যন্ত কয়েক শ’ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিও রয়েছে। অথচ, কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। হ্যাঁ, ভেতরের খবর। টাকা দিয়ে অস্ত্র না পাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে ইউক্রেনের সাথে। অলরেডি, জটিলতা তৈরি করা ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও, যুদ্ধে রাশিয়ার সামনে ইউক্রেন টিকে আছে। যে সমস্ত চাঞ্চল্যকর বিষয়গুলোর সামনে উঠে আসছে সেগুলো যথেষ্ট সেনসিটিভ। তাই, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম