।। প্রথম কলকাতা ।।
PM Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য রান্না করেন কে? জানেন নিরাপত্তার সবথেকে উঁচু স্তর কীভাবে বাছাই করা হয়েছিল নমোর জন্য সেফ? কতটা কঠিন পরীক্ষা? নমোর খাওয়ার মুখে তোলার আগে কে চেখে দেখেন সে খাবার? এত রিস্ক নিয়ে কাজের বদলে প্রধানমন্ত্রীর খানসামার বেতন কত? খিচুরি, ধোকলা বা বাজরার রুটি, গুজরাটি খাবারই কমফোর্ট ফুড প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ তবে দেশের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তা জাতীয় ইস্যু সেখানে কতটা টাফ পরীক্ষা পেরিয়ে তবেই নমোর শেফ বাছাই করা হয়েছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্র্রপ্রধানদের পিছনে ফেলে সবথেকে জনপ্রিয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জীবনের ঝুঁকি সবসময় গোলা-গুলিতেই থাকবে এমন তো নয়। প্রতিদিন কে বা কারা দেখভাল করছেন সেটাই আসল ম্যাটার সারাদিন প্রশাসনিক কাজ ছাড়াও কী করেন নমো? কী খান? কে রান্না করে দেয়? পিএমও দফতরের রিপোর্ট বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত এক রাঁধুনি। কীভাবে এত বিশ্বস্ত মানুষকে খুঁজে পাওয়া গেল সেটাই হল আসল রহস্য। জানেন কোনও পরীক্ষাতেই পাশ করতে হয়নি মোদীর সেফ বদ্রি মীনাকে।
কে এই বদ্রী মীনা?
গুগলের হন্যে হয়েও খুঁজলেও বদ্রী মীনার কোনও ছবি আপনি পাবেন না৷ প্রায় ২৭ বছর আগে রাজস্থান থেকে কাজের খোঁজে গুজরাটে এসেছিলেন বদ্রী মীণা। আহেমদাবাদের বিজেপি অফিসে রান্নার কাজ করতেন মীণা। সেখানেই তাঁর হাতের দালিয়ার খিচুড়ি ও কারি খেয়ে অবাক হয়েছিলেন নমো। ২০০১ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে খানসামা হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি কেবলমাত্র নমোর ভরসার পাত্রই নন। বদ্রী মীণা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখে। বিশেষ করে নমো গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সচেতনভাবে তাঁর জন্য রান্না করে চলেছেন। প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে মোদীর সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। দেশ-বিদেশেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর করেন তাঁর বিশ্বস্ত বদ্রী।
কী থাকে প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মেনুতে?
সপ্তাহে তিনদিন তিনি খিচুড়ি খেতে পছন্দ করেন নমো। প্রাতরাশে সাধারণরত ইডলি বা ধোসা খান তিনি। এছাড়াও বাজরার রুটি, ভেন্ডি কারি ও গুজরাতের মিষ্টি চুন্ডো। পরম যত্নে এখন তা রেঁধে চলেছেন এই খানসামা। কেন্দ্রের তরফ থেকে এক আরটিআইয়ে জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সারাদিনে খাওয়ার পিছনে যা খরচ হয় সেই বিল নিজেই দেন নমো। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাওয়া নিয়ে সরকারের এক টাকাও খরচা হয় না।
এত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কত বেতন পান বদ্রী মীনা?
জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জন্য রয়েছে আলাদা কুক। মোদীর গোটা টিম যে খাবার খান তাদের খাবার তৈরির দায়িত্ব রয়েছে প্রহ্লাদের রামের উপর। তবে বদ্রী মীনার চোখ এড়ায় না কোনও কিছুই। রান্নার হেড প্রহ্লাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রহ্লাদ এবং তার রান্নার টিম এই কাজের জন্য মাস গেলে মোটা মাইনে পান ভারত সরকারের থেকে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হেড খানসামা প্রহ্লাদের বেতন
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে ভারত সরকারের রাঁধুনীর বেতন কাঠামো ১৮ হাজার টাকা থেকে ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রহ্লাদ রামের বেসিক স্যালারি ১৯,১০০ টাকা। তবে বদ্রী মীনা ঠিক কত বেতন পান সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম