।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan Russia Relation: রাশিয়ার পাকিস্তান তাস খেলছে। ভারত শেখাবে মোক্ষম সবক। ইউক্রেন কিন্তু পাল্টা জোরদার আক্রমণ করছে খেলা ঘুরে যেতে পারে। ভারতের সহ্যের সীমা পের হলে করুণ পরিণতি হবে। মোদীর আমেরিকা সফরের আগেই পুতিন বিছালেন জাল। রাশিয়ার এত পাকিস্তান প্রীতির নেপথ্যে আসল কারণ জানেন? পাকিস্তান-রাশিয়া দোস্তি জিন্দাবাদ৷ সুর বদলে ফেলছে ক্রেমলিন৷ ভারতকে টেকেন ফর গ্রান্টেড নেওয়া? পাকিস্তানকে নিয়ে যে কোনও সমঝোতা নয় সেটা পুতিন হন বা বাইডেন। পাকিস্তানকে অস্ত্র পাঠিয়ে সাহায্য মানেই সোজাসুজি ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়া। রাশিয়া কি নিজের হাতেই এবার দিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব শেষ করে ফেলছে?
নাকি আসল গেমটা ভারতের বিরুদ্ধেই নয়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কও বদলে যায়। ভারতের থেকে সস্তার তেল মস্কো পাঠিয়েছে ইসলামাবাদে। রাশিয়ার মুখে হঠাৎ কয়েক মাস থেকে পাকিস্তানের স্তুতি। পুতিন তো জানুয়ারিতে বলে দিয়েছিলেন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রধান অংশীদার হল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের প্রধান শত্রুকে এতটা আসকারা দেওয়ার নেপথ্যে পুতিনের কোন স্ট্র্যাটেজি রয়েছে? আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বলছে, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মস্কোর বড় বন্ধু ইসলামাবাদ। আর সেই বন্ধুত্ব আজকে থেকে নয়। কিন্তু হ্যাঁ রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের আগে অনেকটাই ঠান্ডাঘরে ছিল বন্ধুত্ব। মোদী আমেরিকা সফর নিয়ে মাতামাতি হওয়ার পরই যেন আগুন জ্বলে উঠল।
ভালো করে অঙ্ক বুঝুন, রাশিয়ার শত্রু আমেরিকার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, তাহলে ভারতের শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে মাখো মাখো সম্পর্ক কেন নয়? রাশিয়া এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি সম্মেলনকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, তারা পাকিস্তান এবং মস্কো দু’দেশে অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবেন তারা। এমনটা শুনে দিল্লি কি প্রতিক্রিয়া দিল? কড়া কোনও বার্তা দিয়ে দেওয়া হল এখনই? কূটনীতির এফেক্ট কখনই এত দ্রুত হয়না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মোদীর আমেরিকা যাত্রা নিয়ে যখন দ্বিপাক্ষিক উন্মাদনার ঢল নেমেছে তখন মোদী সরকারকে এ ভাবেই সূক্ষ্ম বার্তা দিল। ক্রেমলিন হয়ত মোদীর ওয়াশিংটন সফরকে নিয়ে নয়াদিল্লির এতটা ঢাকঢোল পেটানোকে আদৌ ভাল চোখে দেখছে না মস্কো। পাকিস্তানকে কিছুটা পিঠ চাপড়ানোর এই পদক্ষেপ পুতিনের। তবে এক্ষেত্রে দ্বিমতও রয়েছে, কিছু কিছু ব্যাখ্যায় এমনটাও বলা হয়েছে পাকিস্তানকে নিজেদের কাছে টেনে আদতে আমেরিকার থেকে দূরে করে দিচ্ছে রাশিয়া
যেমন আগেই সৌদিকে আমেরিকার থেকে সরিয়ে দিয়েছিল মস্কো।
পাকিস্তানের গঠন হওয়ার সময়ের পরবর্তী ১০ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ইসলামাবাদের ব্যাপক সম্পর্ক থাকলেও পরবর্তী নানান ইস্যুতে হিমঘরে চলে যায় এই বন্ধুত্ব। বলতে পারেন অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একপ্রকার যেচেই আমন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া গিয়েছিল ২০২২ সালে। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ২০১৫ সাল। ২০১৫ সালে ভারত আমেরিকার সঙ্গে লজিস্টিক বিনিময় সংক্রান্ত অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিপত্র সই করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি সই করছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর মানে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠতা বাড়লেই পাকিস্তানকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে মস্কো। ভারত বারবার আন্তর্জাতিক শিবিরে সতর্কবার্তা অস্ত্র বা পুঁজি দিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পোক্ত করার মানে ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে ব্যবহার করা। তবে এবারে ইসলামাবাদকে নিয়ে মস্কোর বাড়বাড়ি প্রকাশ্যে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেছে দিল্লি৷ ভিতরে অবশ্যই যে পাল্টা রণনীতি তৈরি করে রাখা হবে এমন ধারণা করা যায়৷ তাই রাশিয়াকে বুঝতে হবে এখন তারা যুদ্ধের মাঝে রয়েছে। তাই এখন বেশি পাকিস্তান প্রীতি দেখালে ভারতের হাতেও আমেরিকা সহ অনেক অস্ত্রই রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম