।। প্রথম কলকাতা ।।
Narendra Modi: ২৩ জুন মোদীর সফর রেড সার্কেল করে নিলো চিন। কেন আমেরিকার সফরের মাঝে কোথায় যেতে পারেন নমো? ৯৬ ঘন্টায় ভারতের শক্তি বিশ্বকে দেখাবেন নরেন্দ্র মোদী। বদলে যাবে অনের অঙ্ক আগামী ২৬ বছর কেমন হবে ভারতের? ফল চূড়ান্ত করে আসবেন নমো। চিনের বাণিজ্যে সরাসরি কোপ পড়তে পারে ভারত জাদুকাঠি ঘোরালেই। ১২৬৫৩ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে ওয়াশিংটন যাত্রা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু বেজিংয়ের নজর মোদীর আমেরিকা যাত্রার ওপর নয়। এক মুসলিম দেশে এবার পাড়ি দেবেন নমো, তাতেই আঁতকে উঠছে চিন। ২০২০-২১ সালের অসম্পূর্ণ কাজটাও এবার সম্পূর্ণ করা হবে। এই যাত্রায় এতটা উৎসুক কেন ড্রাগনের দেশ? মোদী কোন ভয় দেখাচ্ছেন?
২৩ জুন বেজিংয়ের হেড কোয়ার্টারের ক্যালেন্ডারে লাল মার্ক করে রাখা হয়েছে দিনটাকে। কারণ আমেরিকা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাচ্ছেন মিশরে। ১৪ বছর পর এই প্রথমবার মুসলিম দেশ মিশর পা রাখবেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। চিন জানে মোদী যখন কোন দেশে যান সেখানে বড় কিছুই ঘটে। তাই সূত্রের খবর এবার বেজিংয়ের হেড কোয়ার্টার থেকে রীতিমত মনিটরিং করা হবে মোদীর যাত্রা। কিন্তু ওয়াশিংটন যাত্রার পথে ইজিপ্ট যাত্রা ভারতের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হল কেন? কোন বিজনেস ডিল এবার এই সফরে ক্র্যাক করা হবে? যাতে চিনের হতে পারে পরোক্ষ ক্ষতি। কূটনৈতিক মহল বলছে জিনপিং আর মোদীর পার্থক্য কি জানেন? মোদী প্রথমে ভরসা দেন, দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করে তারপর সেই সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী করায় বিশ্বাস করেন।
মিশর ও ভারত কৃষি, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, টেক্সটাইলে সহযোগীতা বাড়িয়েছে পরিসংখ্যান কথা বলবে দেখুন। ২০১৮-১৯ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪.৫৫ আরব ডলার। ২০১৯-২০ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৭.২৬ আরব ডলার। ২০২৬-২৭ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ আরব ডলার টার্গেট সেট। ব্রিটেনকে সাইড করে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ট্রেড যত বাড়াবে ভারত দেশের বিকশিত হওয়ার পথে তা আরও বল জোগাবে দিল্লিকে। মনে করে দেখুন গণতন্ত্র দিবসে এই প্রথমবার কোনও মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপতিকে আবদেল ফাতা এল সিসি প্রধান অতিথি বানিয়েছিল মোদী সরকার। সেসময়ই আন্দাজ করা গিয়েছিল মিশরকে নিয়ে ভারত কতটা গভীরে ভাবনাচিন্তা করছে। কিন্তু এই মিশরে এমন কি আছে? যা দিল্লির অর্থনীতিকে বুস্ট আপ করতে পারে?
মিশরে ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনভেস্ট করে রেখেছে ভারত। দিল্লি ৫০ বেশি সংস্থা ইজিপ্টে মজুত রয়েছে আর এই কোম্পানি অন্তত ৩০ শতাংশ কর্মসংস্থান করছে মিশরের। তেব এবার মনে করা হচ্ছে মোদীর এই সফরে ভারত সবথেকে বেশি ফায়দা তুলবে প্রতিরক্ষা খাতে। আগে চিনের ঘাবড়ে যাওয়ার কারণটা জানুন৷ মিশর আরব ও আফ্রিকার রাজনীতির বড় খিলাড়ি। আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারে ঢোকার প্রমুখ প্রবেশদ্বারও ধরা হয় মিশরকে। ভারত-চিনের এই ঠান্ডাযুদ্ধে যার সেন্টার পয়েন্ট আফ্রিকা। আফ্রিকা বাজারে কন্ট্রোল চাইছে ভারত ও চিন উভয়েই। মরক্কো, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, ঘানার মতো দেশে বড় মার্কেট রয়েছে। এসময় মিশরের ওপর যদি ভারতের প্রভাব বাড়ে তাহলে চিনের সঙ্গে রণনীতিতে দিল্লি মাস্টারস্ট্রোক বলতে পারেন। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় ২০০ আরব ডলারের কারবার রয়েছে চিনের। সেখানে ভারতের কারোবার রয়েছে ৭১.৬৫ আরব ডলার। আর এই পরিসংখ্যান চিনের বিনিয়োগে আধভাগের থেকেও কম। মোদী এই সংখ্যাই বদলে দিতে চান এবার। যা রীতমত গলার কাঁটা হয়ে উঠছে ড্রাগনের দেশের৷
ভারতের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি বুস্ট আপ করারও বড় চান্স থাকছে। আকাশ মিশাইল ও স্মার্ট অ্যান্টি এয়ার ফিল্ড সিস্টেম কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। তেজস বিমান রেডার, সৈন্য হেলিকপ্টারেও মারাত্মক ইন্টারেস্ট তাই এবার যদি মোদীর সফরে কোনও প্রতিরক্ষা ডিল ক্র্যাক হয় তাহলে তাতে শুধু আর্থিক উন্নতিই নয় মেড ইন ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট পৌঁছে বিশ্বের ওই দেশের। গ্লোবালি আরও পরিচিতি পাবে এই ভারতের প্রোডাক্ট। এবার বোঝা গেল কেন মোদীর এই সফর এতটা চাপ তৈরি করছে বেজিংয়ের ওপর? অস্বস্তি যে আগামী দিনে আরও বাড়বে তেমনটা মনে করছেন কূটনীতিবিদেরা৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম