।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত ‘দ্য বস’! মাথা পেতে মেনে নিচ্ছে বিশ্বের গরিবদেশগুলো। মোদী খেলা আপাদমস্তক উল্টে দিলেন চিন অবাক। দিল্লিতে যেখান থেকে শেষ বারণসীতে সেখান থেকে শুর। নমো সরকারের নীতি বদল ভারতকে পৌঁছে দিল কোথা থেকে কোথায়। মোদীর ভোকাল টনিকের জয়জয়কার চারিদিকে৷ বারাণসী থেকে মোদীর একটা ঘোষণা পৌঁছে গেল গোটা বিশ্বে। এক দশক আগেও ভারত যা করতে পারেনি এবার করে দেখাল। ভারত বুঝিয়ে দিল চিনের সঙ্গে তাদের বেসিক পার্থক্যটা কোথায়? কোন ট্র্যাপে ফেলা নয় ভারত এগোবে সঙ্গে বাকিরাও এগোবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবারও দেখালেন নতুন আলো, নতুন পথ৷ সরকারি নীতি বদলে অন্য লেভেলে পৌঁছচ্ছে দেশ, আমার আপনার দেদ। একদিকে ডিফেন্স সিস্টেমে চড়চড় করে উন্নতি অন্যদিকে লাজবাব পররাষ্ট্রনীতি। ভারত এবার নেতৃত্ব দেবে বিশ্বের গরিবদেশগুলোর। জি-৭এ থাকা উন্নত দেশগুলো গালে হাত দিয়ে ভাবছে ভারতের এতটা ক্ষমতা? বারাণসীতে জি ২০ বৈঠকেই এবার বারাণসীতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সামনে গরিব দেশগুলির অভাব-অভিযোগ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেকেই বলছেন এমনটা হয়ত ভারতই পারে৷
আপনাদের মনে করিয়েদিই জানুয়ারি মাসেই দিল্লিতে ১২০ দেশের মন্ত্রীদের নিয়ে হয়েছিল ৎভয়েস অব গ্লোবাল সামিট। সাউথ উন্নত দেশগুলোকে বলা হচ্ছে নর্থ। অনুন্নত তুলনামূলক গরিব দেশগুলো সাউথ। ভারত উন্নত আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেন যৌথ মঞ্চ পরিনত হয়েছে। তাদের একমাত্র কণ্ঠ এখন আর চিন নয়ত ভারত। নমো দিল্লিতে শেষ করেছিলেন যেখান সেখান থেকেই শুরু করলেন বারাণসীতে। চিনের বরাবরই চেষ্টা গ্লোবাল সাউথ লিড করবে তারাই। কিন্তু সে চাল সবাই ধরে ফেলেছে, গরিব দেশগুলোকে ঋণের জালে ফেলে কন্ট্রোল নেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে ড্রাগনের৷ এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের৷
দিল্লি ডায়লগেই মোদী বলেছিলেন ভারতের প্রধান কাজ হবে জি২০ বাইরে থাকা দেশগুলোর মন্তব্য জি২০ মঞ্চে পৌঁছে দেওয়া। ভারত কথার খেলাপ করল না। জি২০ বৈঠকে অনুন্নত দেশগুলির গ্লোবাল সাউথ হয়ে কার্যত ব্যাটন সামলালেন নমো। তাঁর মতে, ভূকৌশলগত সংঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে গরিব দেশগুলি।
মোদীর কথায়, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে আমাদের চেষ্টা হওয়া উচিত সামগ্রিক ভাবে সবাইকে নিয়ে একজোটে এগনো। স্পষ্ট কথা, স্বচ্ছ চিন্তাভাবনার সরকারের এই নীতিই এবার বিশ্বের কাছে আলাদাই গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন অনুন্নত দেশ গ্লোবাল সাউথ এবার ভারতকেই বস মানতে শুরু করেছে কোনও চাপে পড়ে নয় ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেখে। এই জি২০র দেশে কিন্তু চিনও সামিল।
ভারতের ওপরে ওঠার গতি দেখে চরম চাপ তৈরি হচ্ছে বেজিংয়ে। অনেকই বলছেন ভারত চাইলে রাশিয়া-আমেরিকার সামনে চেপে যেতে পারত অনুন্নত দেশগুলোর সমস্যা। বরং অতিমারির ফলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পরিস্কার তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের সঙ্কট তৈরি হয়েছে ভূকৌশলগত সংঘাতের কারণে। সেটি আরও একটি বড় ধাক্কা। জি২০ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিশ্বের কাছে জোরালো বার্তা যাওয়া চাই যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার মতো কৌশল ও নির্দেশিকা আমাদের কাছে রয়েছে দিল্লি জানিয়ে দিল কূটনীতিবিদরা সাফ বলছেন জি-৭ বা রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের মতো সংস্থা একাধিপত্য গ্লোবাল সাউথ আর বরদাস্ত করতে চাইছে না তারা এখন ভারতেই এখন ভরসা খুঁজছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম