।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Biparjay: বড় খবর! ভারত-পাকিস্তানে রেড অ্যালার্ট ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে নিয়েছে ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়। আগামী ২৪ ঘন্টায় মারাত্মক কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। হাজার হাজার মানুষকে সরানো হচ্ছে উপকূল থেকে। বড় বিপত্তির আশঙ্কা। ভারত-পাকিস্তানে একসঙ্গে দুদেশের ওপর বিপদের মেঘ৷ বৃহস্পতিবারটা এখনই ভয় ধরাচ্ছে। এটা কোনও সাধারণ ঘূর্ণিঝড় নয়, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে সাইক্লোন বিপর্যয়। মৌসম ভবন রীতিমত জারি করে দিয়েছে রেড অ্যালার্ট ঠিক কত বড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে? আর কয়েক ঘন্টা৷ বৃহস্পতিবার সন্ধায় আছড়ে পড়বে বিপর্যয়৷ এখন থেকে খেল দেখানো শুরু।
খালি হয়ে গিয়েছে গুজরাতের বন্দরগাঁও তুফান শুরু ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের উপকূলের সিন্ধ প্রদেশ থেকে। ১৫০ কিমি প্রতিঘন্টায় গতি নিয়ে আছড়ে পড়বে বিপর্যয়। গুজরাতের কচ্ছ পাকিস্তানের করাচির মধ্যে স্থলে ল্যান্ডফল। তছনছ হয়ে যেতে পারে গুজরাত ও পাকিস্তানের একটা অংশ। সৌরাষ্ট্রের কচ্ছ উপকূলের জাখাউ বন্দরের উপর দিয়ে ১৫ জুন এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাওয়ার কথা। সবথেকে বড় কথা মৌসম ভবন বলেদিচ্ছে, এই সাইক্লোন মারাত্মক বিধ্বংসী৷ এর মানে ক্ষয়ক্ষতি একটা ব্যাপক আশঙ্কা থাকছেই।
এলাকার কাচা বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়তে পারে। অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড় এই সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি উপড়ে ফেলতে পারে। ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে চাষবাসে। মৌসম ভবনের এই পূর্বাভাস পেতেই উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ে করে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঝড়ের আগে কত দ্রুত সমস্ত মানুষকেই উপকূল থেকে সরিয়ে ফেলা যায় ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে দ্রুত। গুজরাটের উপকূল থেকে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দল প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ত্রাণ। প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্যও প্রস্তুত।
গুজরাতের পোরবন্দর, দেবভূমি, দ্বারকা ও কচ্ছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। এসব জেলায় সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ও স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অলরেডি গুজরাতের ভুজ থেকে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে বলে খবর। এদিকে পাকিস্তানেও রীতিমত আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে করাচী লাগোয়া এলাকাতেই আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় তৌকতি তাতে ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছিল তবে এবার বিপর্যয় কি আরও বড় ক্ষতি করে দেবে। রিস্ক জোনে থাকা দুদেশের কপালেই এখন চিন্তার ভাঁজ৷ বাংলায় ঘূণিঝড় বিপর্যয়ের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানা গিয়েছে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম