।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Biparjay: ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ মোদির। রিস্কে গুজরাট, জারি রেড অ্যালার্ট। বন্ধ স্কুল, কচ্ছ উপকূলে বলবৎ ১৪৪ ধারা, সমুদ্র পারে জমায়েত নিষিদ্ধ। প্রাণ বাঁচাতে মানুষকে অস্থায়ী শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু। সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি। খারাপ আবহাওয়ায় কোনো বিমান বাতিল, কোনোটা নামতেই পারছে না, মুম্বই বিমানবন্দরে সমস্যায় যাত্রীরা। ১৩-১৫ জুন ভাইটাল টাইম। গুজরাট ছাড়া আর কোন কোন রাজ্যকে সতর্ক থাকা নির্দেশ? শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানেও খেল দেখাবে ‘বিপর্যয়’। ভয় নয়, সতর্ক থাকুন।
আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি কেমন? তা খতিয়ে দেখতেই অলরেডি একটা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। বৈঠকে মোদির নির্দেশ, যাতে সাইক্লোনের মাঝেও ত্রাণের ব্যবস্থা থাকে। বিশেষত স্বাস্থ্য, পানীয় জল, টেলিকমিউনিকেশনের দিক থেকে যেন কোনও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি না থাকে, তার বন্দোবস্ত করতেও বলা হয়েছে। এছাড়াও মোদি বলেন, প্রাণীদের নিরাপত্তাও যেন সুনিশ্চিত করা হয়। সব দিক থেকে যে জোরদার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে সেটা একদম পরিষ্কার।
এদিকে ‘বিপর্যয়’-এর জেরে মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মুম্বইতে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, বিমানবন্দরে একাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাতের দীনদয়াল বন্দর ছেড়ে জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে চলে গেছে। গুজরাটের যে সমস্ত এলাকায় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে, সেই সমস্ত এলাকায় মঙ্গলবার থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ৯৫ টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক ও লাক্ষাদ্বীপের মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ১৪ ই জুন গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ১৫ ই জুন রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ১৬ ই জুন পর্যন্ত গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৪ এবং ১৫ জুন গুজরাটের কচ্ছ, পোরবন্দর, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড়, মোরবি এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে। পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মুম্বাইতে পৌঁছে গেছে এনডিআরএফ এর টিম। আরব সাগরে ফুঁসছে বিপর্যয়। ল্যান্ডফলের আশঙ্কায় গুজরাট গুনছে প্রহর।
IMD কি জানাচ্ছে?
আগামী ১৫ জুন মানে বৃহস্পতিবার বিপর্যয় পাকিস্তানের করাচি এবং গুজরাটের মধ্যবর্তী কচ্ছ এলাকার জাখাউতে আছড়ে পড়বে। ল্যান্ডফলের সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। হ্যাঁ, পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। তাই, সতর্ক রয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক ও লাক্ষাদ্বীপ ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানের বাণিজ্য শহর করাচিতে ব্যাপক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশ থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় মানুষকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম