।। প্রথম কলকাতা ।।
India Bangladesh: বাংলাদেশ ভাবতেও পারেনি এত বড় সাহায্য করতে চলেছে ভারত বড় খবর! নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার সঙ্গে কথা বলবেন বাংলাদেশ নিয়ে। অজিত ডোভালের ডিপার্মেন্টের বড় ভূমিকা, কী হতে চলেছে নির্বাচনের আগে বড় স্বস্তি পেতেও পারে শেখ হাসিনার দেশ। গোটা ইকুয়েশনের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে চিন৷ কীভাবে বুঝুন৷
এই প্রথম নয় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ কি ঘটেছিল জানেন? বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখানে হতে পারে বড়সড় লস। ভারত ঠিক মধ্যস্থতাকারীর কাজ করবে? নাকি আরও বড় কিছু, শেখ হাসিনার সরকার তৈরি হোক হয়ত চায় না আমেরিকা এমনটা বিবিসির সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরগরম। শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ যখন ভারত আর ভারতের সঙ্গে যখন এতটাই ঘনিষ্ঠতা আমেরিকার নির্বাচনের আগে একটা সুযোগ মিস করতে চাইছে না আওয়ামী লিগ সরকার। বাংলাদেশের অস্বস্তি এবার বদলে যেতে পারে স্বস্তিতে। কারণ ভারত জানিয়ে দিল তারা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু এতে ভারতের স্বার্থ কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন খুব সুক্ষ্ম কূটনীতি জড়িয়ে রয়েছে গোটা বিষয়ে কোনও দেশই তার বিদেশনীতি রাতারাতি বদলায় না। কিছু সূক্ষ্ম তারতম্য ঘটায় মাত্র। বাংলাদেশকে চটালে যুক্তরাষ্ট্রের কি কোনও বড় ক্ষতি হতে পারে? ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মার্কিন প্রভাব ক্ষুন্ন হবে? রিস্ক রয়েছে আরও গভীরে চোখে আঙুল দিয়ে সত্যতা আমেরিকাকে দেখাবে দিল্লিই।
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে আমেরিকা এর আগে বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশে কোনও রকম হিংসা, মানবাধিকার লঙ্ঘন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হলে তারা বরদাস্ত করবে না। তবে এবারের নির্বাচনের আগে কঠোর সিদ্ধান্ত সরাসরি কোপ ভিসানীতিতে। জানা যাচ্ছে ১৯ জুন মোদীর সফরই হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের খবর বাংলাদেশের টানাপোড়েন নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলার পক্ষপাতী ভারতের সাউথ ব্লক। প্রকাশ্যে যদিওবা এমন কোনও ইঙ্গিত দিল্লি দেয়নি, বরং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল অন্য কোনও রাষ্ট্রের ভোট নিয়ে শেষ কথা বলবেন একমাত্র সেই দেশের মানুষ তাতে নাক গলানোর প্রশ্ন নেই। কিন্তু এখানেই কি রয়েছে গোপন বোঝাপড়া?
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এর আগেও ভারত এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশেই দাঁড়িয়েছিল৷ এবারও তাই হতে চলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দফতর থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের গুরুত্বের দিকটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ওয়াশিংটন সফরে তুলে ধরা হবে। গত মাসে জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ শীর্ষ বৈঠকেই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছে, আমেরিকাকে কার্যত এখন থেকেই সতর্ক করতে চাইছে ভারত৷ নয়াদিল্লি আমেরিকাকে বলতে চায় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্ব যথেষ্ট সেখানে এখন এমন কিছু করা আমেরিকার বাঞ্ছনীয় নয় যাতে সে দেশে মৌলবাদী, কট্টরপন্থী, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা যায়। তাতে হিতে বিপরীত পারে৷ নয়াদিল্লি এ কথাও ওয়াশিংটনকে বলতে চায় যে, বাংলাদেশে এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে আওয়ামী লীগ সরকার চিনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আর এই খবর না আমেরিকার জন্য ভালো হবে আর ভারতের জন্য তো নয়ই। এমনতেই যুক্তরাষ্ট্রের থেকে চিনের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সম্পর্ক গভীর।
এক্ষেত্রে একটা পয়েন্ট বিশেষ উল্লেখ করে দিতেই হয়। সম্প্রতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে হাসিনা সরকার ১৫ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে। সেখানে ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ওই অঞ্চলের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি উদার, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাই বলা হয়েছে। আগেই বাংলাদেশকে জানানো হয়েছিল ভারত এসব বিষয়ের ওপর নজর রাখছে৷ তবে এবার প্রতিবেশী দেশের জন্য অ্যাকশন নিতে পিছুপা হবে না ভারত৷ এবার দেখার এর ফলাফল কতটা ইতিবাচক হয়৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম