।। প্রথম কলকাতা ।।
India Nevy: আরব সাগরের বুক থেকে ঝড় তুলল ইন্ডিয়ান নেভি। পাকিস্তানের মিডিয়া রীতিমত হতবাক দিল্লির সিদ্ধান্তে। শাংরিলা ডায়লগে নিজেদের ইগো দেখিয়ে ভুল করে ফেলল বেজিং। আরব সাগরে ভারতের শক্তি প্রদর্শন নিয়ে চর্চা গোটা দুনিয়ায়। চিনের দাদাগিরি শান্ত করে দেবে দিল্লি।৩৫ টি যুদ্ধ বিমান ও ২ টি এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার নিয়ে আরব সাগরের বুকে দাপিয়ে বেড়াল ইন্ডিয়ান মিলিটারি। মালাক্কা প্রণালী থেকে পারস্য উপসাগর শক্তি দেখল ভারত। কিন্তু কেন এসময়টাকেই বেছে নেওয়া হল? কেন বেছে নিল দিল্লি?
একা তো নয়! দুই দুই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে ‘এসকর্ট’ করে সঙ্গে চলল তাদের নিজস্ব ‘ব্যাটল গ্রুপ’। কী নেই তাতে! দুই বিশাল জাহাজের ডেকে অভিযানে প্রস্তুত ৩৫টি ফাইটার জেট বাঁয়ে-ডাইনে, আগে-পিছনে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, এএসডব্লু করভেট জলের নিচ দিয়ে চলা সাবমেরিন ও আকাশে ভ্রাম্যমান নজরদারি বিমান।প্রতিরক্ষা মহল বলে দিচ্ছে পরিস্কার। সাম্প্রতিক অতীতে, এত বড় আকারে শক্তি-প্রদর্শন করেনি ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌসেনার এই জলবা দেখে রীতিমত চমকে গেল পাকিস্তান পাকিস্তানের মিডিয়ায় এখন আলোচনার মূল টপিকই এটা।
শনিবারই আরব সাগরের সবথেকে বড় মহড়া দেখেয়েছে ভারত। আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্তকে একসঙ্গে নামানো হল সাগরে। আর উড়ল এয়ারক্রাফট কেরিয়ারে থাকা মিগ-২৯ সহ ৩৫ টা যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান বলছে, আরব সাগরে আর কে, আর কাকে শুধুমাত্র পাকিস্তানকে নিশানা করেই এমন শক্তি প্রদর্শন করেছে ভারত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন না টার্গেট একা কোন ভাবেই পাকিস্তান নয়। যে হারে সমুদ্রে নিজেদের কায়েমি বৃদ্ধি করে চলেছে ড্রাগনের দেশ
তার মোকাবিলা করতে কোনও ভাবেই একটা অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী যথেষ্ট নয়।
চিন ও তার ‘সব ঋতুর বন্ধু’ পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে পাশাপাশি দুটি অপারেশনাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল সেটা যেন এতদিনে বাস্তব রূপ পেল, যখন আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত পাশাপাশি দেখা গেল আরব সাগরের বুকে।
এখানেই শেষ নয় সব রহস্য তো সমুদ্রের অতল গভীরে৷ আরব সাগরের গভীরে টেস্ট করা হল ভারতীয় সাবমেরিনও বলা হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভারতের সবথেকে মহড়া। বলা হচ্ছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত সমুদ্রে সাঁতার কাটা এয়ারফিল্ড। প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় দাঁড় করিয়ে যে কোনও হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া যেতে পারে। বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য ক্যারিয়ারের ডেক থেকে এক-এক করে উড়ছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। কখনও আবার ল্যান্ডিং করছে এমএইচ-৬০আর, কামোভ, এএলএইচ হেলিকপ্টার এই মহড়া বা প্রদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দুই বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা। পিএলএ আর্মি বলেছিল না তারা ভারতকে কোনও হুমকিই মনে করে না৷
কূটনৈতিক মহল বলছে চিনের এধরণের মন্তব্য যে শাপে বর হল ভারতের নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন নৌসেনার ইতিহাসে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। জাতীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রে সুসম্পর্ক স্থাপন ও সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌসেনা। বলে রাখি, গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রান্ত। অন্যদিকে দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর ফের জলে নেমেছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য।ইসলামাবাদ- বেজিংয়ের ঘুম ওড়াতে আগামী দিনে এধরণের আরও বড় মহড়া চালাবে ভারত এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম