।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia- Ukraine War: শেষ নোংরা খেলাটা শুরু করে দিলেন পুতিন। রাশিয়ার হামলায় তিলে তিলে মৃত্যু হল সদ্যোজাত শিশুর। এদিকে ইউক্রেনে ছোবল মারছে তীব্র ঠাণ্ডা। জেলেনস্কির সম্বল এখন বাইডেনের যুদ্ধাস্ত্র? সাদা বরফে ঢাকা ইউক্রেন দেখবে ইরান- আমেরিকার ড্রোনের লড়াই। শীতেই ইউক্রেনে হবে আসল লড়াই, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন। সেই খেল শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। শীত থেকে বাঁচতে জ্বালানি নয়, ইউক্রেনকে গ্রে ঈগল ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা? যা কিনা ইরানের ড্রোনের থেকে আরও ভয়ানক। শীতেই অন্ধকারে ডুবে যাবে ইউক্রেন? নাকি ওস্তাদের মার শেষ রাতে?
যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই নেই। এদিকে শীতে এক ধাক্কায় নামছে তাপমাত্রার পারদ। পাওয়ার প্ল্যান্টে একের পর এক মিসাইল হামলা বিদ্যুতের অভাব অন্যদিকে তীব্র পানীয় জলের কষ্ট। তার মধ্যে এবার হাসপাতালগুলোকে নিশানা করছে রুশ বাহিনী। জাপোরিঝিয়ায় একটি প্রসূতি হাসপাতালকে তছনছ করে দিয়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। মিসাইল হানায় মৃত ২ দিনের এক সদ্যোজাত শিশুর। প্রসূতি ওয়ার্ডে দোতলা ভবনটি গোটাটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
জ্বালানির অভাবে ইউক্রেনের ঘরে ঘরে লোডোশেডিং। হাড়হিম ঠান্ডায় ভয়ঙ্কর পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তার মধ্যে লাগাতার গোলা ছুটে আসছে বসতি এলোাকায়। রাশিয়ারহামলার কথা সরকারি ভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রশাসনিক মহল। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পরে রয়েছেন অনেকেই। ইউক্রেনের উপর যে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী তা নৃশংস। ইচ্ছা করেই এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া বলেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় কিয়েভের মেয়র। মানুষজনের ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। পশ্চিমী দেশগুলি যদি দ্রুত শীতবস্ত্র ও জেনারেটর না পাঠায়, তাহলে এবারের শীতে ঠান্ডায় জমে শেষ হয়ে যাবে ইউক্রেনবাসী।
কিয়েভের বাইরেও ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গায়
ব্ল্যাকআউট শুরু। অন্ধকারেই দিন কাটছে ৪০ লক্ষ ইউক্রেনবাসীর। ২৭টি অঞ্চলের মধ্যে ১৫টিতে চার ঘণ্টারও বেশি করে লোডশেডিং চলছে। জেলেনস্কির অভিযোগ ইরানের তৈরি শাহিদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন দিয়ে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ক্রেমলিন। তবে বারবারই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। রাশিয়া অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ইরানের কাছ থেকে ৪০০ অ্যাটাক ড্রোন পেয়েছে পুতিন। এমন অবস্থায় রুশ বাহিনীকে ঠেকানোর জন্যআমেরিকার কাছ থেকে গ্রে ইগল ড্রোন চাইছে ইউক্রেন। ড্রোনটি ৮ হাজার ৮০০ মিটার উঁচুতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উড়তে পারে। জেলেনস্কির সেনাকে এই বিধ্বংসী ড্রোন দিলে সংঘাতের আরও ভয়াবহ হতে পারে। এমনই আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে ইরানের থেকে পাওয়া সেই অস্ত্রভাণ্ডার শেষ হতে চলেছে পুতিনের। তাই ইউক্রেন দেশটায় ব্ল্যাকআউট দিয়েই মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইছে রাশিয়া? তবে আমেরিকা যদি তাদের শক্তিশালী ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করে। তাহলে কী মারণ কামড় দেবে ইউক্রেন? যুদ্ধের মোড় কী ঘুরে যাবে? বাইডেনের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম