।। প্রথম কলকাতা ।।
Hair Fall: পুরুষ মহিলা চুল ওঠে সবারই। কিন্তু মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের চুল বেশি পড়ে যায় কেন ভেবে দেখেছেন কি? পুরুষদের তো অনেক সময় চুল উঠে টাক পড়ে যায়। সে তুলনায় যেন মহিলাদের চুল কমই ওঠে। টাক মাথার মহিলা সাধারণত দেখা যায় না। তবে একটা সময়ের পর মহিলাদেরও চুল পড়ার গতি বাড়ে। কেন পুরুষদের চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যায়? মহিলাদের চুল পড়া বাড়ে কোন সময় থেকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই নাজেহাল। নারী-পুরুষ উভয়ই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রতি দিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল এমনিতেই পড়ে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়লে সেটা কিন্তু চিন্তার বিষয় হতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। একটা বয়সের পর চুল ওঠার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে টাক পড়েও যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে মাথার সামনের দিক থেকে। প্রথমে মাথার দু’পাশ থেকে চুল ঝরতে শুরু করে।
পুরুষদের চুল বেশি পড়ে কেন?
পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ই ঘরের বাইরে সময় কাটান। রোদে বেশিক্ষণ থাকে তাদের চুল। তাই তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও নারীরা চুলের যতটা যত্ন নেন, তার একভাগ যত্নও পুরুষরা নেন না। সব মিলিয়ে কম বয়সেই অনেক পুরুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও মাথায় চুল পড়ে টাক হয়ে যায়। আর মাথার চুল কমে গেলে আত্মবিশ্বাসও কমে যায়।এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে মূলত ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা যায়।
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। মেয়েদের শরীরে এই হরমোনের উপস্থিতি নেই বলেই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি চুল পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল ঝরার পাশাপাশি বংশগত কারণেও চুল উঠতে পারে। বংশে কারও চুল ওঠার প্রবল সমস্যা থাকলে অল্প বয়সেই টাক পড়ে যায়। সাধারণত পুরুষদের ত্রিশ বছর বয়সের পর থেকে চুল পড়া শুরু হয়। পঞ্চাশ বছর বয়সে তাদের মাথার অর্ধেকেরও বেশি চুল ঝরে যায়। তবে এমন নয় যে হঠাৎ করে এনজাইমগুলো একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কাজ শুরু করে এবং আপনাকে ‘টেকো’ করে দেয়। টেস্টোস্টেরন থেকে ডাই হাইড্রো টেস্টোস্টেরনে রূপান্তর একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই প্রাকৃতিক চুল পড়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া বলা হয়।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ নামমাত্র। এছাড়াও, টেস্টোস্টেরনের সঙ্গে ইস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোনও মহিলাদের মধ্যে নিঃসৃত হয়। তাই মহিলাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনকে ডাই হাইড্রো টেস্টোস্টেরনে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াও কম হয়। কখনও কখনও এই প্রক্রিয়াটি গর্ভাবস্থায় বা মেনোপজের সময় দ্রুত হয়। এ সময় মহিলাদের চুলও পড়া শুরু হয়। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ছোটবেলা থেকে সঠিকভাবে যত্ন নিলে পুরুষদেরও বেশি বয়স পর্যন্ত মাথা ভর্তি চুল ধরে রাখা সম্ভব। আমাদের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে যদি উদ্দীপনা দিতে পারি, তাহলে চুল গজানো সম্ভব। প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটাকে যদি বাড়ানো যায় তাহলেও নতুন চুল গজাতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম