।। প্রথম কলকাতা ।।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলো অপ্রত্যাশিতভাবেই। উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ‘পারস্পরিক চুক্তি’র পরে রোনাল্ডোর চুক্তি বাতিল করা হয়। ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে সি আর সেভেনের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর রোনাল্ডোর ভাগ্যের নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড সাক্ষাত্কারে রেড ডেভিলসের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ক্লাব কর্মকর্তা ও কোচের উপরে। এরপরই রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নিতে উঠেপড়ে লাগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে রোনাল্ডোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের খবর প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি জানা যায় রোনাল্ডো এই মরসুমের বাকি সময়ে যে জিবিপি ১৭ মিলিয়ন উপার্জন করার কথা ছিল তার একটিও পাবেন না।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, চুক্তির অবসানের পরে ক্লাব থেকে খেলোয়াড়ের জন্য ক্ষতিপূরণ ফি দেওয়া হয়। তবে রোনালদোর ক্ষেত্রে সেরকম কিছুই হবে না। দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্তারা ৩৭ বছর বয়সী তারকাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আসার পরে তাকে কোনও বেতন দিতে আগ্রহী ছিলেন না, কারণ তিনি ‘চুক্তি লঙ্ঘন’ করেছিলেন। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে উভয় পক্ষের আইনজীবী – ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড আর্নল্ড এবং রোনাল্ডোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডেস এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোনও বেতন-অফ জড়িত হবে না।