।। প্রথম কলকাতা ।।
Tarapith: হিন্দু তীর্থক্ষেত্র হিসেবে তারাপীঠ শুধু এই বাংলাতে নয়, সারা ভারতে প্রসিদ্ধ। মহাসাধক বামাক্ষ্যাপার পদধূলিধন্য এই মহাপীঠে মা তারা সর্বদা বিরাজ করেন। তারাপীঠ একটি সিদ্ধ পীঠ এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান আনন্দ ও সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। এখানে ভক্তি শেষ কথা। বীরভূমের অন্যতম আকর্ষণ এবং তীর্থক্ষেত্র হল তারাপীঠ। তারাপীঠ মূলত শক্তিপীঠ হিসেবেই খ্যাত। বছরে প্রায় প্রতিটি সময় হাজার হাজার ভক্তের আগমন হয়ে থাকে।তারাপীঠ কে কেন্দ্র করে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনী তবে জানেন কি, মা তারার একটি বোন-ও রয়েছেন? আর বছরের একটি দিনে মুখোমুখি হন দুই বোন। দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয়া হলেন তারাদেবী। মা তারার বোন? অবাক লাগলেও মা তারার সত্যিই একজন বোন রয়েছেন। জানেন তিনি কে?
অধুনা ঝাড়খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত মলুটিতে দেবী মৌলিক্ষার মন্দির। ‘মৌলি’ অর্থে মাথা এবং ‘ইক্ষা’ শব্দের অর্থ দেখা। ল্যাটেরাইট পাথর দ্বারা নির্মিত মৌলিক্ষা দেবীর মূর্তি, যেখানে শুধু মস্তক-ই দেখতে পাওয়া যায়। আর এনাকেই তারা মায়ের বোন বলা হয়। বছরের একটি দিনে দুই বোন মুখোমুখি হন। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী। এইদিনে তারাপীঠে মা তারা পশ্চিমদিকে মুখ করে বসানো হয়। কারণ মলুটি তারাপীঠের পশ্চিম দিকে।কথিত আছে, এই বিশেষ দিনে মা তারা এবং তাঁর বোন মৌলিক্ষা মা মুখোমুখি বসে গল্পগুজব করেন। সে কারণেই মা তারাকে এই দিনে পশ্চিমে মুখ করে বসানো হয়।
উল্লেখ্য, তারাপীঠের পবিত্র মহাশ্মশানও পশ্চিমদিকে। অনেকে আবার মনে করেন সে কারণেই মাকে পশ্চিমে মুখ করে বসানো হয়। আশ্বিন মাসের শুক্ল চতুর্দশী তিথিতে-ই আবির্ভাব ঘটেছিল মা তারার। বীরভূম সীমান্তে ঝাড়খণ্ডের মুলটি গ্রামে দেবী অধিষ্ঠিত মা মৌলিক্ষা এখানে দেবীর শিরোভাগের দর্শন মেলে। কথিত আছে মুলটির মৌলিক্ষা মা তারার মায়ের বড় বোন। মুলটি গ্রামের মৌলিক্ষা অষ্টম শতাব্দীর বৌদ্ধ তান্ত্রিক শৈলীর।
জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের শাসনে ছিল বলে গ্রামের নাম হয় মলুটি। শোনা যায় ১৮৫৭ সালে সাধক বামদেব বা বামাক্ষ্যাপা তারাপীঠে যাওয়ার আগে মৌলটিতে ১৮ মাস মৌলিক্ষা মন্দিরে ছিলেন। মৌলিক্ষা মায়ের কাছে বাবা বামাক্ষ্যাপা প্রথম সিদ্ধি লাভ করেন। মলুটি মৌলিক্ষা মায়ের মন্দির সিদ্ধ পীঠ ।কলকাতা থেকে এটি বেশি দূরে নয়। হাওড়া থেকে ট্রেনে রামপুরহাট। সেখান থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে মলুটি। গ্রামের দু দিক দিয়ে বয়ে যাবার ছোট ছোট গ্রাম মুলটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে দুটো নদী। চুমড়ে আর চন্দন নালা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম