।। প্রথম কলকাতা ।।
Sanitary Napkin: কলা থেকে তৈরি হচ্ছে স্যানিটারি প্যাড। এটাও সম্ভব নাকি। শুধু ভারত নয় এবার বাংলাদেশও দেখাচ্ছে কামাল। ন্যাপকিন তৈরির পদ্ধতি চমকে দেবে আপনাকে। অর্গানিক হলেও কতটা স্বাস্থ্যকর এই প্যাড? যে কলা খাওয়া হয় তার থেকে প্যাড তৈরি কীভাবে সম্ভব নাকি কলার খোসা থেকে? একটা স্টার্ট আপ বদলে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ মহিলার জীবন।
কলা বা কলার খোসা থেকে নয়। স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি হচ্ছে কলাগাছ থেকে। কারণ একবার ফল দেওয়ার পর রীতিমত নষ্ট হয় এই গাছ। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম কলা উৎপাদক দেশ। কিন্তু জানেন কি একবার কলা হওয়ার পর আবর্জনার স্তুপে ফেলা হয় এর গাছ কেটে।
কোন পদ্ধতিতে কলার কান্ড থেকে এমন সাদা প্যাড তৈরি হচ্ছে?
ভারতের ‘সাথী’ স্টার্ট আপ করে দেখাচ্ছে এমন অসাধ্য সাধন। অনেকেই কিন্তু এই ব্রান্ডটার সঙ্গে পরিচিত। সাধারণ কাপড়ের চেয়ে কলাগাছের আঁশের শোষণ ক্ষমতা বেশি। কিন্তু আঁশ বের করে আনতে হলে কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। গাছের ভেতরের প্রায় ৯০ ভাগ পানির নিষ্কাশন করে। এরপর সেই আঁশ ফাইবারে পরিণত হলে তাকে এক গোপন পদ্ধতিতে তুলোতে পরিণত করা হয়।
বলতে পারেন এটাই সাথীর সিকরেট কি৷ আর এই পদ্ধতিতে যে জল কলাগাছ থেকে বের হচ্ছে তা ফেলা হয়না। তাকে সারে পরিণত করে জমিতে ছড়ানো হয়। তাঁদের প্যাড ১০০ শতাংশ পরিবেশ বান্ধব। সবথেকে বড় কথা এটা সিন্থেটিক প্যাডের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এমআইটি গ্র্যাজুয়েট অমৃতা সাইগল সঙ্গে পেয়েছেন ক্রিস্টিন কাগেৎসুকে তারাই এই চমৎকার কাজ করছেন। মূলত গ্রামের মহিলাদের কথা মাথায় রেখে।কারণ প্রথমত ঋতুস্ব্রাবে বাজারে দামী প্যাড কেনা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়।
ক্রিস্টিনের দাবি, ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর গ্রামের ২৩% মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এই প্যাড বানিয়ে কিছু মেয়ের যেমন আয়ের পথ খুলছে। তেমনই উপকৃত হচ্ছেন কলাচাষিরা। বাংলাদেশে আসিফ আলম এই আইডিয়াই সামনে এনেছেন। ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাকস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর মূল পর্বে অন্যতম সেরা স্টার্টআপের খেতাব পেয়েছেন আসিফ আলমের আইডিয়া প্রকল্পটি। সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যেমন নিশ্চিত হবে। তেমনই চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।