।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘লিডার অব সাউথ’ (দক্ষিণ এশিয়ার নেতা) বলে অ্যাখ্যা। চিনের কয়েক গুণ পিছনে ফেলে দিল ভারত। জাপান-অস্ট্রেলিয়া সফর ভারতের ইমেজ বদলে দিল কীভাবে? গ্লোবাল সাউথের নেতা ভারত বদলে যাচ্ছে অঙ্ক। ঠিক কোন কারণে ভারত আজ এই স্থানে? অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিস নমোকে বলছেন আপনিই হলেন বস। এইদিকে প্রোটোকল ভেঙে পাপুয়া নিউগিনি প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে প্রণাম করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
ভারত এমন কোন মাস্টারস্ট্রোক দিল? যে আজ আন্তর্জাতিক স্তরে এক অনন্য ছাপ রাখতে পারছে ভারতবর্ষ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটা কি শুধুই মোদী ম্যাজিক? নাকি অন্য জাদু? কূটনীতিবিদরা প্রথমেই বলছেন, যতই কোয়াডের বৈঠক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাতিল করুকনা কেন। জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়া আর মাঝখানে পাপুয়া নিউগিনি।
নরেন্দ্র মোদীর এই সফর বড় ইমপ্যাক্ট ফেলেছে জিও পলিটিক্সে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঠিক কোন কোন চুক্তি বা ডিল স্বাক্ষর হয়েছে সেই তালিকায় পরে আসছি, তবে প্রশান্ত মহসাগরীয় দ্বীপরষ্ট্রগুলো যে এখন ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তাদের কন্ঠস্বর হওয়ার জন্য ভারতকেই তারা বলছে এটা কিন্তু পরিস্কার হয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের মন্তব্য থেকে। তিনি নিজের মুখেই বলেছেন বড় দেশগুলির মধ্যে লড়াইয়ের জেরে আমাদেরকেই সমস্যায় পড়তে হয় ক্ষমতার লড়াইয়ের জেরে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের মতো ছোট দেশগুলির সমস্যা তুলে ধরার জন্য মোদিই প্রকৃত কণ্ঠস্বর। এমনকি নমোকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও দিয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
চিন ও ভারতের মাঝে একটা বড় প্রতিযোগিতা হল দক্ষিণ এশিয়ার লিডার আসলে কে হবে? তাহলে কি বলা যায় চিনকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ভারত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে এমূহুর্তে বিশ্ব দুটো ভাগে ভাগ হয়ে আছে। ১৯৮০ সালে একজন বিশ্লেষক ছিলেন ব্র্যান্ডিট। তিনি এক রেখা বরাবর ভাগ করেছিলেন বিশ্বকে যাকে বলা হয় ব্র্যান্ডিট লাইন। আসলে কারা ধনী দেশ, আর কাদের কাছে ধন সেই পরিমাণ নেই ভেদাভেদ কিন্তু সেখানেই। আর এই ভেদাভেদেই অর্থাৎ ইকোনমিক প্রগেস গ্লোবাল নর্থ আ গ্লোবাল সাউথ ভাগ করা হয় ইকোনমিক প্রগেস এবং রাজনৈতিক স্থিরাবস্থা দেখে ভাগ করা হয় গ্লোবাল নর্থ এবং গ্লোবাল সাউথকে। সেখানে গ্লোবাল সাউথে কিন্তু পড়ছে ভারত, চিন, সৌদির মতো দেশ। গ্লোবাল সাউথ এখন খুঁজছিল এমন একজন নেতা যে প্রতিনিধ হয়ে কথা বলবে গ্লোবাল নর্থের সঙ্গে। অদ্ভুতভাবে কয়েকমাস আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও কিন্তু একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে একটা দিন ভারতই হবে গ্লোবাল সাউথের কন্ঠ।
অনেকেই মনে করেন ভারত কোনওদিনই চিনের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় নামতে পারবে না এক্ষেত্রে। কারণ চিন ভারতের থেকে সবদিক থেকে অনেক উন্নত। কিন্তু পার্থক্য একটাই চিনের মতো আগ্রাসী নীতি নিয়ে চলে না ভারত। ভারতের প্রচেষ্টা গ্লোবাল নর্থের দেশগুলোর সঙ্গে বোঝে এদিকে আর্থিক পরিস্থিতি কীভাবে শোধরানো যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া গ্লোবাল নর্থের সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। কোনও যুদ্ধ নীতি নিয় চলে না নয়া দিল্লি৷ এখন আপনি বলতেই পারেন পাপুয়া নিউগিনির মতো একটা ছোট দেশ ভারতকে গ্লোবাল সাউথ লিডার বলায় কি যায় আসে? বিশেষজ্ঞরা বলছে ম্পিটিশন চিনের সঙ্গে আগামী দিনে আরও কঠিন হবে তবে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া কে হয় সেটাই দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম