।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine war: ফাইনালি বাখমুত দখল করে নিল রাশিয়া। এবার কি করবে ইউক্রেন? মে মাসে ২০ দিনের মধ্যে ১৬ দিন কিয়েভে হামলা মস্কোর। এখন যুদ্ধে গেম চেঞ্জার হতে পারে একটাই হাতিয়ার, দাবি বিশেষজ্ঞদের। জেলেনস্কি দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন জাপানে জি সেভেনের বৈঠক করতে। খারাপ খবর এল তখনই। এত চেষ্টা এত কৌশল সত্ত্বেও বাখমুত দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু বাখমুতে তো রাশিয়ার শক্তি, সেনাবল শেষ হয়েছিল গিয়েছিল না? তাহলে সেই ঘোষণাও কি ছিল মস্কোর ষড়যন্ত্র?
জেলেনস্কি ভাবতেও পারেননি এমনটা হবে, হয়ে যাবে আসলে৷ সব খুঁইয়ে শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বয়ান। বাখমুত শহরটি তাঁদের হৃদয়ে থাকবে, এটা ট্র্যাজেডি। সবথেকে বড় প্রশ্ন এবার যুদ্ধ কোন দিকে এগোবে গোটা বাখমুত জুড়ে রয়েছে ভুগর্ভস্থ একাধিক টানেল। আর এপ্রিলের একটা সময় রুশ হামলায় ক্লান্ত হয়ে এই টানেলেই কিন্তু লুকিয়ে ছিল ইউক্রেনের সেনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতদিন কিয়েভের ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এবার রাশিয়ান ফোর্স সোজা হানা দিতে পারে কিয়েভের দিকেই। তবে এখানেই খেলা পাল্টালেও পাল্টে যেতে পারে এমনটাও দাবি অনেক বিদ্বজনের। কেন? কীভাবে?
দ্য গার্ডিয়ানের এই রিপোর্ট দিচ্ছে রিস্কের বার্তা। পশ্চিমারা বিশেষ করে আমেরিকা ইউক্রেনকে দিতে পারে F-16 ফাইটার জেট। একবার এই জেট হাতে এলে সেটাই নাকি হবে গেম চেঞ্জার। রাশিয়া পাল্টা ভয়ানক পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেও কে শুনছে সেই হুমকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতে এফ-১৬ নিজের সুনিপুণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে প্রতিবার। ইউক্রেনে বর্তমানে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ লেজার, জিপিএস এবং উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত নির্ভুল বোমা উৎক্ষেপণ, শত্রুপক্ষের ভূমিতে থাকা রাডারগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে এফ-১৬ যথেষ্ট কার্যকরী।
এফ-১৬ হাতে এলেও এটা চালাবে কে?
ইউক্রেনের বর্তমান যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ পরিচালনা করা অনেকটাই ভিন্ন। এটি পরিচালনা করতে যথেষ্ট সময়ও অনুশীলনের প্রয়োজন। ইউক্রেনীয় পাইলটদের সেক্ষত্রে বেসপোক সিমুলেটর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাখমুত দখলের পর পুতিন শুভেচ্ছে জানিয়েছে তার বাহিনীকে৷ আর এটা মেনে নিতেই হয় যে জেতে সেই হিরো৷ রাশিয়ার এখন পাল্লা ভারী৷ ইউক্রেন সেই খেলাই কৌশলে পাল্টাতে পারবে কিনা সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম