।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন জেলেনস্কির। কেন ইউক্রেন ভারতকে ধন্যবাদ বলল আবারো কি চাইছে কিয়েভ? মোদী-জেলেনস্কির আলোচনা কী বিষয়ে হলো সেটা গোপন রাখা হয়েছে। রাশিয়ার এর মাঝে দিল সাবধানবাণী। জাপানের হিরোসিমায় না হচ্ছে তাতে নজর গোটা বিশ্বের মিডিয়ার৷ সেখানেই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ভারত কিন্তু জি-৭ এর সদস্য নয়। তবে এবার অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত। সবথেকে উল্লেখযোগ্য মোদী-জেলেনস্কির বৈঠকে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে নরম গরম সম্পর্ক থেকেছে কিয়েভের। তাই এই বৈঠক একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়া কি ভারত এবং ইউক্রেনের মুখোমুখি হাওয়া পর কোনও প্রতিক্রিয়া দিল? ভারত সামলে নিল তো নিজেকে। ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করেছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর ‘দশ দফা শান্তি পরিকল্পনা’ প্রয়োগে ভারতের সমর্থন চেয়েছিলেন। এবার কি সেই নিয়েই আলোচনা হল? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা একাধিক অনুমান করছেন। কারণ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে? এদিন তা অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। তবে মোদী-জেলেনস্কির করমর্দনের ছবি প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ইউক্রেন ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতকে। কারণ মানবিকতার দিক থেকে ইউক্রেনকে বহু সাহায্য করেছে ভারত। এরই মাঝে অন্য আর একটা বিতর্ক কিন্তু মাথা চারা দিয়ে উঠলো। রাশিয়ার ওয়ার্নিং দিয়েদিলো কোনওভাবে যাতে এফ-১৬ বিমান না পায় কিয়েভ। কিন্তু জি-৭এর দেশগুলোও আমেরিকার সঙ্গে সহমত। হয়ত খুব শীঘ্রই ইউক্রেনের হাতে আসতে পারে এফ-১৬ ফাইটার জেট। সেই সঙ্গে পাইলটদের দেওয়া হতে পারে ট্রেনিং।
এফ-১৬ কিয়েভের হাতে এলে তারপর রাশিয়া কি পাল্টা স্টেপ নেবে এটাই কিন্তু একটা ঝুঁকিরই সমান বলছেন প্রতিরক্ষামহল৷ জানা গিয়েছে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে মানবিকতার ইস্যু বলে মন্তব্য করেন নমো। ভারত যে শান্তির বার্তা এই প্রথমবার দিচ্ছে তেমনটা কিন্তু নয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, “এটা যুদ্ধের যুগ নয়”
কিন্তু ঠিক কি আলোচনা যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে দাঁড়িয়ে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে হল সেই পর্দা যত তাড়াতাড়ি উঠবে ততই পরিস্কার হবে আগামী হিসেব৷ জি-৭এর এই বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসে সেই দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম