।। প্রথম কলকাতা ।।
Falharini Kali Puja 2023: সামনেই ফলহারিণী কালী পুজো। জেনে নিন কবে- কখন শুভ যোগ রয়েছে? ফলহারিণী কালীপূজো কেন করা হয়? জানেন এদিন মায়ের আরাধনার তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জীবনে। এই বিশেষ অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কোন নিয়ম না মানলে মা কালী রুষ্ট হন? ফলহারিণী কালীপুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি জেনে নিন। দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট-তারাপীঠে ফলহারিণী কালীপুজো উপলক্ষে সাজো সাজো রব। অনকে গৃহস্থের বাড়িতেও এই অমাবস্যায় মা কালীর আরাধনা হয়। কিন্তু কেন ফলহারিণী কালী পুজো করা হয় তা কি আপনি জানেন? এই বিশেষ দিনে কীভাবে পুজো করলে মা কালী আপনার উপর কৃপা করবেন? তারাপীঠে তারা মাকে এদিন ফলের মালার সাজে সাজানো হয়। সাড়ম্বরে দক্ষিণেশ্বরেও হয় কালী মায়ের আরাধনা। এবারের ফলহারিণী কালী পুজোর দিন আগামী ১৮ মে বৃহস্পতিবার রাত ৯/১৩/৩৬ মিনিট থেকে ১৯ মে, রাত ৮/৪৩/২৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা তিথি। জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যায় মা কালীকে ফলহারিণী বলে ডাকা হয় কেন? এই পুজোর মাহাত্ম্য কী?
বলা হয় জীবকে যা তিনি দেন তা তাদের কর্মফল অনুসারেই দেন। মা তারার বিশেষ রূপ নাকি ফলহারিণী দেবী এই তিথিতে দেবীর পুজো-আরাধনায় অশুভ কর্মফলের বিনাস হয়। বদলে শুভ ফল প্রাপ্ত হয়। তাই এই অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালী পূজিতা হন ফলহারিণী কালী নামে। মা কালীকে সন্তুষ্ট করতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মানতেই হবে। নাহলে মায়ের অভিমানে ভক্তদের উপর অভিশাপ নেমে আসতে পারে। জ্যৈষ্ঠমাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল নানা রকম মরসুমি ফল পাওয়া যায়। এ দিন মনস্কামনা পূর্ণ করতে মা কালীকে ফল নিবেদন করেন ভক্তরা। বলা হয় মানত করা এই ফল ইচ্ছে পূরণ না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া নিষেধ। ইচ্ছে পূরণের পর সেই বিশেষ ফলটি গঙ্গায় ভাসিয়ে পুজোর আয়োজনের পরামর্শ দেন মুনিঋষিরা।
রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই বিশেষ দিনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ফলহারিণী কালী পুজোর কোন তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জীবনে? শ্রীরামকৃষ্ণদেব এই দিনেই স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগৎ কল্যাণের জন্য। ফলহারিণী কালী পুজোর দিন শ্রীমা সারদাকে
ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন বলে আজও রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে এই পুজো ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত। দক্ষিণেশ্বরে তাঁর ঘরে মা সারদাকে পুজো করেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁর মোক্ষপ্রাপ্তির জন্য এই নিয়মে পুজো করলেও দিনটিতে অনেকেই নানা ফল দিয়ে মা কালীর পুজো করে থাকেন। ফল এখানে প্রতীক তা আসলে সাধকের কর্ম-রূপ ফল। দেবীর চরণে এদিন ভক্ত তাঁর জীবনের সমস্ত কর্মফল নিবেদন করেন। পুজোর সময়ে অবশ্যই একটি তেলের প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না।
এই অমাবস্যার তিথিতে মায়ের পুজো ভালো ভাবে সম্পন্ন করলে বলা হয় সব দোষ কেটে যায় জেনে নিন এই দিনটির মাহাত্ম্য। বলা হয় এই দিন মায়ের বিশেষ পুজোয় সকলের বিদ্যা, কর্ম ও অর্থ ভাগ্যের উন্নতি হয়। সাংসারিক দাম্পত্য জীবনে সব বাধা কেটে যায়। জীবনে সুখশান্তি লাভ হয়। ফলহারিণী কালীপুজো করলে পূজারীর ও ভক্তের কর্ম ও অর্থভাগ্যে উন্নতি ঘটে। মহাকালী একধারে ভয়ংকরী, অন্য দিকে অপার করুণাময়ী। মায়ের নানা রূপ। কোথাও তিনি নিত্যকালী, কোথাও মহাকালী, কোথাও ভদ্রকালী, কোথাও শ্যামাকালী।তিনিই আবার এই ফলহারিণী কালী। ভক্তিভরে প্রার্থবনা করলে মা সব মনোষ্কামনা পূরণ করবেনই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম