।। প্রথম কলকাতা ।।
Rabindranath Tagore Jayanti: স্মরণে কবিগুরু বিশ্বকবির জন্মদিনে রবি-প্রণামে জোড়াসাঁকো থেকে শান্তিনিকেতন রবীন্দ্র জয়ন্তীতে নানা অনুষ্ঠান। নাচে-গানে উদযাপন রবীন্দ্রপ্রেমীদের। নিজের সাহিত্যকীর্তির মাধ্যমে আজও তিনি সকলের মাঝে জীবিত, তাঁর সৃষ্টি অমর।
বাংলার ২৫ বৈশাখ দিনটিতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বকবি। সেই বাড়িটি ঘিরে রয়েছে নানান ইতিহাস, রয়েছে ঐতিহ্য। সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব, যৌবন। পরবর্তীকালেও অনেকটা সময় তিনি জোড়াসাঁকোর বাড়িতে থেকেছেন। কখনও শিলাইদহ, কখনও শান্তিনিকেতনে বাস করেছেন। কখনও বা ঘুরে-বেরিয়েছেন দেশে-বিদেশে। কিন্তু বাড়িকে ভুলতে পারেননি। কলকাতার জোড়াসাঁকোয় ঠাকুর পরিবারের বাড়িটি এক সময়ে ছিল আধুনিক বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এই বাড়ির আনাচে -কানাচে রয়েছে বিশ্বকবির স্পর্শ। করোনার দুবছর পর সেজে উঠেছে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। কিন্তু আজকের দিনেও খানিকটা বিবর্ণ বিশ্বভারতী কারণ গরমের জন্য বাতিল করা হয়েছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর মূল দুটি অনুষ্ঠান। কিন্তু অনান্যবারের মতো এবছরও ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, সাড়ে ৫টায় উদয়নগৃহে কবিকণ্ঠ, সকাল ৭টায় উপাসনা গৃহে বিশেষ উপাসনা হয়।
জোড়াসাঁকোর বাড়ি ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের জীবনে, শিল্পসৃষ্টিতে বেশি কিছু বাড়ির কথা তাঁর লেখার মধ্যে বারবার ফিরে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম পানিহাটির গঙ্গার তীরের একটি বাড়ি। যা প্রথমে ছিল ময়মনসিংহ-র শেরপুরের জমিদার গোপাল দাস চৌধুরীর। পরে তিনি তাঁর মায়ের নামে গোবিন্দমোহনী ভবন নামে একটি অনাথ আশ্রম খুলে ছিলেন। পরবর্তীকালে এই বাড়ির স্বত্ত্বাধিকার পান ছাতুবাবুরা। এটি লালাবাবুদের বাগানবাড়ি নামেও পরিচিত। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের গ্রীষ্মে কলকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ হলে অনেক পরিবারের মতোই ঠাকুর পরিবার পানিহাটির একটি বাগানবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। এই বাড়ির মাধ্যমেই কবিগুরুর প্রথম বাংলার পল্লি ও প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়। মাসে ১২৫টাকা ভাড়ায় মাস দেড়েকের জন্য ঠাকুর পরিবার এই বাগানবাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। এই বাড়িটি এখন হেরিটেজ ভবন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। এই বাড়িতে মোট রবীন্দ্রনাথ চারবার এসেছিলেন।
পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনায় বিশ্বকবির মন অশান্ত হয়ে ওঠে। শান্তির খোঁজে তিনি কিছুদিনের জন্য এই বাড়িতে চলে আসেন। তখন তাঁর বয়স আটান্ন বছর। এটাই তাঁর এই বাড়িতে দ্বিতীয়বার আসা। পঁচিশে বৈশাখে এই বাড়িটি সেজে উঠে। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরুলিয়া জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরে পালন হল রবীন্দ্র জয়ন্তী। ফুল দিয়ে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সুখে দুঃখে, উৎসবে-আয়োজনে সবেতেই মিশে বাঙালির প্রাণের রবি ঠাকুর। আজও বাঙালির জীবনে এমন কিছুই নেই, যা রবি ঠাকুরের সাহিত্য দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম