।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
India Chain: চিনের তীক্ষ্ণ নজর মালদ্বীপে। ভারত নক আউট পাঞ্চ দেবে কেন মালদ্বীপকেই নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখছে ভারত। নয়া দিল্লি যা দিল দেশটাকে তাতে তারা কৃতঞ্জ থাকতে হবে। ৪ মাসের মধ্যে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-চিন। না এমন অরুনাচল প্রদেশ বা এলএসিতে হবে না৷
মালদ্বীপে সরাসরি একটা দ্বন্দ্ব বেঁধে যেতে পারে বেজিং-নয়া দিল্লির মধ্যে। যে মালে-কে চিন একসময় টার্গেট করেছিল তা হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মালদ্বীপ সফর গেলেন আর দিলেন একগুচ্ছ উপহার৷। সেলিব্রিটিদের ঘুরতে যাওয়ার ডেস্টিনেশন মালদ্বীপ কিন্তু শুধুই দৃষ্টিনন্দনের জায়গা নয়। এমন লোকেশনে এই দ্বীপরাষ্ট্র রয়েছে যার ওপর তীক্ষ্ম নজর ড্রাগনের।
এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মালাক্কা প্রণালীর সঙ্গে যুক্ত মালদ্বীপ। বড়সড় ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যের পথ। এসএলওসি সি লেনস অব কমিউনিকেশন বলা হয়। আর ভারত এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পেট্রোল ভেসেল ও ল্যান্ডিং ক্রাফট দিল মালদ্বীপকে। কিন্তু হঠাত কেন?
মাত্র ৪ মাস বাকী মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা একপ্রকার বলতে পারেন চিন ও ভারতের ঘুরপথে পরীক্ষা কারণ ইব্রাহিম মহম্মদ সলি মালদ্বীপে বর্তমান রাষ্ট্রপতি সবসময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের হাত শক্ত করেছে। কিন্তু বিরোধী নেতা প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপের লিডার আবদুল্লা ইয়েমিন আবদুল গাইয়ুম বরাবরই চিন ঘেষা। এর মানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনওভাবে যদি গাইয়ুম দাঁড়ান ও জিতে যান তাহলে ভারতের অস্বস্তি৷
ভারত মহাসাগরে দবদবা বজায় রাখতে এবং বাণিজ্যের হাল মজবুত রাখতে হলে মালদ্বীপকে ভারতের দরকার। ২০১৩-২০১৮ চিনের দিকে গোটা মালদ্বীপকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ততৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়েমিন। ভারতের অনেক কাজ সেসময় রুখে করে দিয়েছিলেন। এমনকি মালদ্বীপক বিআরআইএরও অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া এসময় বেজিং ৩৪০০ মিটারের রানওয়ে তৈরি করে দিয়েছিল। এয়ারপোর্টে মালদ্বীপের লোকেরা বলে এটায় তাদের সুবিধা হয়েছে। তবে মারাত্মক খবর চিনের লোন ২০১৮ পর্যন্ত ১.৫ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল। যেখানে এই দেশটার জিডিপি ৯ বিলিয়ন সেখানে ১.৫ বিলিয়ন ম্যাটার করে।
তাই ভারত চাইছে এবার মালদ্বীপের রাষ্ট্রুপতি নির্বাচনে ইব্রাহিম মহম্মদ সলি ফের বসুক কুর্সিতে। এক্ষেত্রে অলরেডি চিনকে নক আউট পাঞ্চ করেও দিয়েছে ভারত। ঘুষ নেওয়ার দায়ে ২০২২ সালেই ১১ বছরের সাজা রয়েছে ইয়েমেনির। মালদ্বীপে আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল বলছে এখনও ৪ মাস বাকি রয়েছে নির্বাচনের৷ আর ৪ মাসে অনেক রাজনৈতিক খেলাই হতে পারে। আদালতের রায়কে অলরেডি চ্যালেঞ্জ করেছে গাইয়ুম। এদিকে তার ছেলে ঘাসান ময়ুমুনও কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে।
মালদ্বীপ নিয়ে ভারত যে স্পর্শকাতর ও প্রয়োজনে আরও অনেক বেশি সাহায্য করবে তা পরিস্কার৷ প্রাইমারি সোর্স অব ফাইন্যান্সিং হিসেবে মালদ্বীপের ভারতকে চাই চাই৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম