।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan Vs China: বন্ধু হয়ে গেল শত্রু। পাকিস্তান (Pakistan) আর চীনের (China) মধ্যে যে কতটা গলায় গলায় ভাব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের খারাপ সময়ে চীন ঋণের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। চরম অর্থনৈতিক সংকটে এখন পাকিস্তান, তবে দেশটির এই খারাপ পর্যায়ে সর্বকালের বন্ধু চীনের সাথে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সেই সম্পর্কে দেখা দিল ফাটল। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলী বলে দিচ্ছে, দুই দেশের গভীর বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছে এক চীনা নাগরিককে। করাচি পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই শহরে চীনা নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ করবে। পাকিস্তানি জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চীন বিরোধী মনোভাব স্থানীয় সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে উঠেছে।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস তাদের কনস্যুলার বিভাগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে চীন যুক্তি দেয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এতদিন চীনকে পাকিস্তানের সব থেকে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে মনে করা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। চীনা নাগরিকদের সঙ্গে নানান সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান তার বন্ধু চীনের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করছে, চীনা নাগরিকদের সন্ত্রাসী হামলা আটকানোর প্রয়াস।
সম্প্রতি ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করার অভিযোগে পাকিস্তানে এক চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা করছে, এই ঘটনার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। পাকিস্তান ধীরে ধীরে চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। চীন পাকিস্তানে তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। চীনের একাধিক আবেদন এবং সতর্কতা সত্ত্বেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। চীনা নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষার প্রতি নির্লজ্জ মনোভাবে চটেছে শি জিনপিং সরকার।
সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসলামাবাদ পরোক্ষভাবে বেইজিংকে তার বিশাল ঋণ পরিশোধ করতে বা খেলাফি এড়াতে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। পাশাপাশি চীনকে সন্দেহ করছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে কর্মরত বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ক্রমাগত চীনা নাগরিক এবং চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকে টার্গেট করছে। পাকিস্তানের জনগণ সন্দেহ করছে, হয়ত চীন বাণিজ্যিক প্রকল্প, খনির কার্যক্রম এবং অন্যান্য আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করার পরিবর্তে ধীরে ধীরে তাদের জমি দখল করতে চাইছে। অপরদিকে চীন মনে করছে, পাকিস্তান সরকার চীনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বিশেষ করে চীনা স্বার্থ রক্ষার জন্য আরেকটি নিবেদিত সামরিক ইউনিটকে অর্থায়ন করার সামর্থ্য এই মুহূর্তে পাকিস্তানের নেই। বেইজিং পাকিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট। বারংবার পাকিস্তানের সামনে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, হয়ত দুই দেশের সম্পর্কের ভাঙনের এইসবে শুরু, এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম