।। প্রথম কলকাতা ।।
Enemy of India: ভারতের (India) সবচেয়ে বড় শত্রু (Enemy) কে, এই প্রশ্ন যদি কোনো ভারতীয় শিশুকে তার ঘুমের মধ্যেও করা হয়, তাহলে তার উত্তর হবে পাকিস্তান (Pakistan)। আর যদি ভারতের শক্তিশালী ও ধূর্ত শত্রুর কথা বলা হয় তাহলে উত্তর হবে চীন (China)। গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় যা হয়ে আসছে তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতের শত্রু কারা। ভারত-পাকিস্তানের শত্রুতার বড় কোনো কারণ নেই। ভারতকে টুকরো টুকরো করে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান গঠনের পর সেখানকার সরকার ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করতে ভোলেনি। কেউ কম, কেউ বেশি। সীমান্ত পাহারাদার বাহিনীর খরচ উভয়কেই বহন করতে হবে, কিন্তু পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে ভারতকে যে খরচ করতে হচ্ছে তা অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। দেশটি সন্ত্রাসবাদ ঘৃণার সাগরে নিমজ্জিত। তার সব খরচ আমেরিকা আগে বহন করত। এখন চীন সেই দায়িত্ব নিয়েছে। চীনে গণতন্ত্র না থাকায় সেখানে শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতা বিরাজ করছে। সে মাও সে তুং হোক বা চৌ এন লাই বা শি জিন পিং। সম্প্রসারণবাদ চীনের প্রকৃতিতে রয়েছে, তাই ভারত-পাকিস্তান তার চোখে প্রথম টার্গেট। যেহেতু পাকিস্তানের নিজস্ব কোনো মর্যাদা নেই, তাই চীন খুব সহজেই তাদের খপ্পরে ফেলেছে।
চীন চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে। পাশাপাশি সেখানে নিরাপত্তার নামে সৈন্য মোতায়েন করেছে, তাতে মনে হয় অচিরেই দেশটি চীনের কবলে পড়বে। ১৯৬২ সালে ‘হিন্দি-চিনি, ভাই-ভাই’ স্লোগান দিয়ে যেভাবে প্রতারণা করেছিল তা থেকে ভারত শিক্ষা পেয়েছে, তবুও চীনের রক্তে মিশে থাকা সম্প্রসারণবাদ সম্পর্কে ভারত খুব সতর্ক। চীন তার প্রতিরক্ষা বাজেট, আগের তুলনায় ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। যদি বিগত চার বছরের দিকে তাকান, চীন প্রতি বছর তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ৭ থেকে ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের থেকে বেশি। দেশটি তার ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ সেনাবাহিনীর সংখ্যা দেখানোর জন্য কমিয়ে আনছে, কিন্তু আজও তা দুই লক্ষের বেশি। চীনের সমর্থকরা বলছেন, আগে প্রতিরক্ষা বাজেট ডাবল ডিজিটে বাড়ানো হতো, এখন সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। এটা সত্য হলেও এটা মূলত ভারতের বিরুদ্ধে। চীন পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে একই উদ্দেশ্য নিয়ে সাহায্য করে। চীন যেভাবে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করছে, সেদিকে বিশেষ নজরদারি করা দরকার।
একটা সময় ছিল যখন ভারতের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার মতো শক্তিশালী বন্ধু ছিল। ভারতের নিজস্ব জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল। সময়ের সাথে সাথে তা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, শত্রু বা ‘মুখে রাম-পাশে ছুরি’ থাকা দেশের সংখ্যা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি মুহূর্তে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যত্র কমানো হলেও প্রতিরক্ষা বাজেট পর্যাপ্ত হতে হবে। সেনাবাহিনীর তিনটি উইংকে সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করতে হবে। অস্ত্র ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে ভারত আগের থেকে বহু গুণে শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতের হিসেবে নাম লিখিয়েছে প্রথম সারি দেশের তালিকায়। বর্তমানে চীন কিংবা পাকিস্তানকে ভারতের উপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে অন্তত দুবার ভাবতে হবে। কারণ সেই হামলার পাল্টা হামলা অর্থাৎ ফলাফল একেবারেই ভালো হবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম