।। প্রথম কলকাতা ।।
Ukraine Minister In India: এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার কোন লক্ষণ নেই। যতবার এই বিষয় নিয়েই ভোটাভুটি হয়েছে ততবারই ভারত (India) নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে। দুই দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক দিক থেকে ব্যালেন্স করেছে ভারত। উপরন্তু রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বেশ ভালো সম্পর্ক। গত এক বছর ভারত আগের তুলনায় প্রচুর কম দামে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের মাঝেই ভারত সফরে এসেছেন ইউক্রেনের মন্ত্রী। চার দিনের সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসতে পারে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে নানান বিষয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারত ইউক্রেনকে সমর্থন করতে পারে?
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থন করছে ইউক্রেনকে। গোটা বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে দল ভাগাভাগি। একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার ঘাড়ে। যদিও এতে রাশিয়ার বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষতি হয়নি। পশ্চিমা বিশ্বের সাহায্যে আজও যুদ্ধে টিকে রয়েছে ইউক্রেন। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেছে, যদি ইউক্রেন সাহায্য না পেত তাহলে যুদ্ধে রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশের কাছে টিকে থাকা অতটাও সোজা ব্যাপার হত না। যুদ্ধের আবহে বারংবার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে উঠে এসেছে ভারতের নাম। ভোটাভুটিতে বারংবার ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে। যুদ্ধের মাঝে সোমবার ভারতে এসেছেন ইউক্রেনের প্রথম ডেপুটি বিদেশ মন্ত্রী এমিনি জাপারোভা (Emine Dzhaparova)। মনে করা হচ্ছে, চার দিনের সফরে তিনি ভারতের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন।
এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের জন্য গোটা বিশ্বজুড়ে নানান আলাপ আলোচনা হলেও যুদ্ধ থামানো যায়নি। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ভারত একাধিকবার কথা বলেছে কিন্তু সমস্যার সমাধানের পথ অধরাই থেকে গিয়েছে। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভারত বারংবার শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতে এসে ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশ মন্ত্রী একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ভারতে এসে আনন্দিত। এই মাটিতেই বহু মহাপুরুষ, সাধু এবং গুরু জন্মেছেন। আজও ভারত বিশ্ব গুরু হতে চায়। ইউক্রেনকে সমর্থনেই সত্যিকারের বিশ্বগুরু হওয়ার একমাত্র উপায়। তাঁর বার্তায় স্পষ্টত ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তিনি যুদ্ধে ভারতকে পাশে পেতে চাইছেন। মূলত তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আর্জি জানাতে ভারতে এসেছেন। ইউক্রেনের তরফ থেকে এক বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে, ভারত ইউক্রেনের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার। প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে শিক্ষা, বাণিজ্য, সংস্কৃতিক এবং প্রতিরক্ষা বিভাগে দ্রুত উন্নতি করেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম