।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: বাংলাদেশে (Bangladesh) এখন টানটান উত্তেজনা। আগামী মে (May) এবং জুন (June) মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পাঁচটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু সেখানে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়েছে বিএনপি (BNP)। বিএনপি’র নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে স্থির করেছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, ২৫শে মে ভোট হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে। ১২ই জুন ভোট হবে খুলনা এবং বরিশালে। তারপর ২১শে জুন ভোট হবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বক্তব্যে জানান “আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। এই সিদ্ধান্তই এখনো আছে। সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না”। বাংলাদেশে গত সাধারণ নির্বাচনে প্রায় ৩০০টি আসনের অধিকাংশতেই নাকি কারচুপি হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করে দেশটির বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি বিএনপি’র ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে রীতিমত বেশ চাপে পড়েছে হাসিনা সরকার। শুধু তাই নয়, বিরোধী দল গুলোর একই অভিযোগে সরব হয়েছে সরকারের দু একটি শরিকদল। যার কারণে ঘরে বাইরে দু জায়গাতেই চাপে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি ২০২৩ এও। বিএনপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে বলে দিয়েছে তারা এই নির্বাচন কমিশনার সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হতে পারে ২০২৩ এর ডিসেম্বরে কিংবা ২০২৪ এ জানুয়ারিতে। ইতিমধ্যেই ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বলে মনে করা হয় বিএনপিকে। যদি বিএনপি ভোটে অংশ না নেয় তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা প্রমাণ করা একটু অসুবিধার হতে পারে। এর আগেও আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সহ জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে স্বাভাবিক সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর দাবি করেছিলেন। বিএনপির তরফ থেকে নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তির সরকার গঠনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, কোন দল ভোট দেবে কি দেবে না সেদিকে নজর রাখা নির্বাচন কমিশনের কাজ। কেউ আসুক আর নাই আসুক, ভোট হবে।