।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত (India) ঠিক কি ভাবছে সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র দফতরে এই বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কূটনৈতিক নোট অর্থাৎ নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে। ভারত সরকার সেচ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদী থেকে জল প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ঠিক কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জলসম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গের পরিকল্পনা বিস্তারিত ভাবে জানতে ভারতকে চিঠি দেওয়ার কথা বলে।
বাংলাদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য এখন তিস্তা নদীর উপর তাদের নোটের মৌখিক উত্তরের ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির অপেক্ষা করছে। এখনো পর্যন্ত ওই ভার্বাল নোটের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। উত্তর পেলে তবেই বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ তিস্তার উপর পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে নয়া দিল্লিতে একটি ভার্বাল নোট পাঠিয়েছে। নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের জল সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর জল বন্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কিনা জানতে চাইলে সাবরিন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ জল সম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে তার জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিস্তা জল বন্টন চুক্তি আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশের সফরের সময় ঢাকা এবং নয়া দিল্লির মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য নির্ধারিত হয়েছিল। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হলেও অবশেষে সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশ্যে তিস্তার জল সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের কথা চলছে। বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, তিস্তার জল ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের নিম্নধারার প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রায় ১১ বছর হয়ে গিয়েছে, ঝুলে রয়েছে তিস্তার জল বন্টন চুক্তি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারংবারই চুক্তিতে আপত্তি তুলে জানিয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জল তিস্তায় নিয়ে। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকারের দাবি, জলপাইগুড়িকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ দুটি সেচ খল খনন করতে চলেছে। এই খাল বিতর্কে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক নবান্নের শীর্ষ মহলে জানান, রাজ্য দুটি খাল খননের চিন্তাভাবনা করছে। যদিও এই উদ্যোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খাল খননের জন্য নানান পর্ব পেরোনোর প্রয়োজন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম