।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine War: এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের (Ukraine) বাতাসে মিশে রয়েছে সহায় সম্বলহীন স্বজন হারা মানুষদের দীর্ঘশ্বাস। তাদের সাজানো-গোছানো স্বপ্নগুলো যেভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তার পুনর্গঠন আদৌ হবে না, তবে বিধ্বস্ত ইউক্রেন স্যাটেলাইট চিত্রে আগের মতো ধরা দিতে পুনর্গঠনে খরচ হবে প্রায় ৪১১ বিলিয়ন ডলার। এই পুনর্গঠনের সময় লাগবে প্রায় ১০ বছর। এমনটাই বলছে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)। গত এক বছরে রুশ সেনাদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে হাজার হাজার বহুতল। ইউক্রেনে বিধ্বস্ত শহরগুলো এখন এক একটা ধ্বংসস্তূপ। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতেই খরচ পড়বে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংকের এই হিসাবটি করা হয়েছে ইউক্রেন সরকার, ইউরোপীয় কমিশন এবং জাতিসংঘের যৌথ হিসাব অনুযায়ী। যুদ্ধের সময় যত বাড়বে ততই পুনর্নির্মাণের ব্যয় উত্তরোত্তর বেড়েই চলবে। অর্থনৈতিকের পাশাপাশি যে পরিমাণ মানবিক ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা হয়ত আদৌ সম্ভব নয়।
বর্তমানে যুদ্ধের (War) যা অবস্থা, সেখানে এই যুদ্ধ কমে থামবে তা বলা মুশকিল। এখনো পর্যন্ত জেলেনস্কি রাশিয়ার (Russia) কাছে মাথা নত করতে নারাজ। প্রথম থেকেই ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করে এসেছে। এই যুদ্ধে না জিতেছে রাশিয়ার, না হেরেছে ইউক্রেন। অপরদিকে রাগে ফুঁসছে রাশিয়া। এখনো পর্যন্ত এই যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা ৬৬১ জন শিশুসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এখন যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী যদি প্রতিরোধ না করত তাহলে তার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেত। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে খারকিভ, খেরসনের মতো শহর গুলিতে।
যুদ্ধের এমত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রতিটি আঘাতের জবাব দিতে প্রস্তুত ইউক্রেন। সম্প্রতি কিয়েভ ও জাপোরিঝিয়ায় রুশ ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন ইউক্রেনের ৯ জন বেসামরিক নাগরিক। তাতেই ক্ষেপেছেন জেলেনস্কি। সম্প্রতি এই যুদ্ধের কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশে রয়েছে বাখমুত অঞ্চল। যাকে কেন্দ্র করে গত ছয় থেকে সাত মাস রুশ বাহিনী ইউক্রেনের উপর হামলা চালাচ্ছে। যদি একবার রাশিয়া বাখমুতকে নিজের আয়ত্তে এনে নেয়, তাহলে রুশ বাহিনীর কাছে এটি হবে বড়সড় সাফল্য।
অপরদিকে রাশিয়ার তরফ থেকে লাগাতার আসছে হুমকি। পোল্যান্ড আর স্লোভাকিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাতেই ক্ষুব্ধ হয় রাশিয়া। রাশিয়ার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে যে যুদ্ধবিমান গুলো পাঠাবে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে। মস্কো প্রথম থেকেই বারংবার অভিযোগ করে এসেছে, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের নেপথ্যে পশ্চিমাদের হাত রয়েছে। এই ভাবে পশ্চিমের বহু দেশ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের ভাণ্ডারে থাকা অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র কাজে লাগাতে চাইছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম