।। প্রথম কলকাতা ।।
Mahiya Mahi: বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি (Mahiya Mahi) অভিযোগ করেছিলেন, হামলাকারীরা নাকি তার গাড়ির শোরুমে ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটেছে একেবারে উল্টো পুরাণ। অভিযোগ জানাতে গিয়ে নিজেই বিমানবন্দরে (Airport) গ্রেফতার হলেন। সবেমাত্র সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। শনিবার (Saturday) বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিমানবন্দরে তাকে পুলিশ (Police) গ্রেফতার করে। তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তার স্বামী পলাতক।
মাহিয়া মাহি বাংলাদেশ ছাড়াও টলিউডের বেশ জনপ্রিয় মুখ। টলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার। তিনি শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের আঙুল তোলেন তার স্থানীয় প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন আর মামুন সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী তাদের নির্দেশে নাকি অভিনেত্রীর গাড়ির শোরুমে ভাঙচুর চলছে। পাশাপাশি লুট করে নেওয়া হয়েছে টাকা-পয়সা। কিন্তু অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফল হলে উল্টো। অভিনেত্রী নিজেই গ্রেফতার হলেন। ওই একই মামলায় তার স্বামী রাকিব সরকার এখন পলাতক। অভিনেত্রী এবং তার স্বামী সৌদি আরবে ছিলেন। শনিবার সকালে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়, তবে তার স্বামীকে পাওয়া যায়নি। শোনা যাচ্ছে তার স্বামী পুলিশের চোখ এড়াতে আরবেই রয়েছেন, বাংলাদেশে ফেরেননি।
আসলে শোরুমের হামলার বিষয়ে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি গাজীপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। উল্টে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিনেত্রী এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এখানে নাকি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন য়েছে। এছাড়াও ইসমাইল হোসেন জমি দখলের অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর নামে মামলা করেছেন। লাদেনের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিনেত্রীর স্বামী প্রায় ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শোরুম তৈরি করেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সমস্যার সমাধান করার বারংবার চেষ্টা চলছিল। এসবের মাঝেই অভিনেত্রীর স্বামীর বেশ কিছু লোক বৃহস্পতিবার রাতের দিকে কিছু নতুন গাড়ি শোরুমে তুলতে থাকে।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে মারধোর, চাঁদাবাজি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আপাতত তাকে পাঠানো হয়েছে গাজীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে আটক করে। তারপর সাতদিনের রিমান্ডে তাকে সরাসরি পাঠানো হয় গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আদালতে বিচারক রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে অভিনেত্রীকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম