।। প্রথম কলকাতা ।।
Ke Huy Quan: অস্কারের (Oscar) মঞ্চে উঠে আবেগ বিগলিত হয়ে কেঁদে ফেলেন সেরা সহ অভিনেতা। হাতে রয়েছে অস্কার। যিনি বলতে দ্বিধাবোধ করেন না, তাঁর জীবনের শুরুটা হয়েছিল একটি বোটের উপর। জীবনের বেশ কয়েকটি বছর কাটিয়েছেন রিফিউজি ক্যাম্পে। তাঁর বার্তা একটাই, নিজের মধ্যে স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখো। সেই স্বপ্নকে মরতে দিলে হবে না। একদিন সেই স্বপ্ন তোমার কাছে ঠিক এসে ধরা দেবে। এই কথা কে হু কোয়ানের (Ke Huy Quan)। ২০২৩ এ অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেরা সহ অভিনেতা হিসেবে জিতে নিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীর মন।
শূন্য থেকে শুরু করেও যে শীর্ষে পৌঁছানো যায় তার প্রমাণ বারংবার পাওয়া গিয়েছে, আর তার জন্য স্বপ্ন দেখতে জানতে হবে এবং স্বপ্নকে ভালবাসতে হবে। এমনটাই জানালেন অস্কারের সেরা সহ অভিনেতা কে হু কোয়ান। ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’ (Everything Everywhere All At Once) ছবিটিতে অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।
অস্কারের মঞ্চে যখন তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, তখন তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন তাঁর মায়ের বয়স ৮৪ বছর। তিনি বাড়িতে বসে তাঁর ছেলের অস্কার নেওয়া দেখছেন। চিৎকার করে বলেন “মা আমি অস্কার জিতলাম”। আবেগ বিগলিত হয়ে তখন তাঁর চোখ দিয়ে ঝরছে জল। তিনি জানান, জার্নি শুরু হয়েছিল একটা বোটের উপর। কয়েক বছর কাটিয়েছেন রিফিউজি ক্যাম্পে, আর এখন দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি বৃহত্তম স্টেজে। তিনি বিশ্বাস করতেই পারছেন না যে তাঁর সাথে এমনটা হচ্ছে। চিৎকার করে বলেন “Dreams are something you have to believe in..”।
কে হু কোয়ানের বয়স প্রায় ৫৩ বছর। তিনি জোনাথন কি কোয়ান নামেও পরিচিত। তিনি একজন ভিয়েতনামীয়-মার্কিন অভিনেতা। তিনি সর্বপ্রথম পরিচিতি অর্জন করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স এন্ড দা টেম্পেল অফ ডুম’ নামক ছবিতে কাজ করে। এছাড়াও ‘দ্যা গুনিস’ ছবিতে ডেটা চরিত্রে তিনি সবার নজর কাড়েন। এই অভিনেতার জীবনের পরতে পরতে রয়েছে নানান বাধা। ১৯৮৪ আর ১৯৮৫ সালে তুমুল জনপ্রিয়তার পরেও ১৯৯২ সালের পর সেভাবে অভিনয়ে সুযোগ পাননি। যার কারণে অভিনয় ছেড়েও দেন। অথচ তিনি চলচ্চিত্রের উপর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি স্টান্ট সমন্বয়ক এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। পুনরায় আবার অভিনয় জগতে ফিরে আসেন ২০২১ সালে। যেখানে সহ অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’ ছবিতে। যা তাঁকে এনে দেয় বিপুল জনপ্রিয়তা। এই ছবি তাঁকে দিয়েছে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার । তারপর জিতে নিলেন অস্কার। সত্যি এভাবেই যদি নিজেদের স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাহলে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে বাধ্য। আর এর পিছনে মূল বীজমন্ত্র হল পরিশ্রম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম