।। প্রথম কলকাতা ।।
Salt Side Effects: আপনার কি খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ (Salt) খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? তরকারিতে লবণ ছাড়াও ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাচ্ছেন? যদি এই কাজটি করে থাকেন তাহলে অভ্যাস ত্যাগ করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) সতর্কবার্তা বা রিপোর্ট (Report) জানলে একটু অবাক হবেন। শরীরে অতিরিক্ত লবণের কারণে মৃত্যু (Death) পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি বছর পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ অতিরিক্ত লবণ। লবণ মানুষের শরীরের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজনীয় বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু তা পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত হলেই মুশকিল। তখন এটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম গ্রহণের প্রবণতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমানোর জন্য একটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সতর্কতা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মানুষ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০.৮ গ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করে থাকেন। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া সোডিয়ামের মাত্রা প্রায় পাঁচ শতাংশের কম। লবণে থাকা সোডিয়াম যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটু বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে হৃদরোগ, স্ট্রোক থেকে শুরু করে অসময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আপনি প্রতিদিন কি খাবার খাচ্ছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) তথ্য অনুযায়ী, মানুষের শরীরে অত্যন্ত কম পরিমাণে লবণের প্রয়োজন। কিন্তু মানুষ সেই মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে লবণ গ্রহণ করে ফেলছেন। এক্ষেত্রে মানুষের সারাদিনে এক চা চামচের বেশি লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়। মানুষের শরীরে বয়স অনুযায়ী সোডিয়াম ক্লোরাইডের চাহিদা ভিন্ন। অপরদিকে যাদের লিভার, কিডনির জটিলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লবণ গ্রহনের বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল বা সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের অভ্যাস রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যায় প্রক্রিয়াজাত খাবার বা রেস্তোরাঁয় থাকা খাবার থেকে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকানরা যে যে পরিমাণ লবণ গ্রহণ করেন তার ৪০ শতাংশ আসে পিৎজা, মাংসের স্যান্ডউইচ, সুপ, চিপস, পপকর্ন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা চিকেন ফ্রাই, বার্গার, পাস্তা, ডিমের নানান আইটেম প্রভৃতি থেকে।
সুস্থ থাকতে কী করবেন?
- অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে যেতে প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্যদ্রব্য এড়িয়ে চলতে হবে। তার পরিবর্তে বেছে নিন স্বাস্থ্যকর খাবার।
- চেষ্টা করুন খাবার বাড়িতে তৈরি করার। সেখানে লবণের একটু কম ব্যবহার করুন।
- প্যাকেটজাত খাবার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে তার লেবেলে থাকা উপাদানের বর্ণনাটা ভালো করে পড়ে নিন। খেয়াল রাখুন ওই খাবার থেকে আপনার শরীরে ঠিক কতটা পরিমাণে সোডিয়াম প্রবেশ করছে।
- কাঁচা লবণ খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। তার বদলে তরকারিতে নানান ধরনের ভেষজ ব্যবহার করে খাবারের স্বাদের পরিবর্তন করতে পারেন।
- যদি অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার বাজার থেকে কিনে আনেন তাহলে তা ধুয়ে নিতে পারেন। যেমন প্রক্রিয়াজাত বা কৌটোর বিভিন্ন সবজি, বীজ, টুনা প্রভৃতি একটু ধুয়ে নিলে সোডিয়ামে মাত্রা অনেকটা কমে যাবে।
- অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত মানেই অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম