।। প্রথম কলকাতা ।।
H3N2 Virus: করোনা(Corona) আবহে একের পর এক ভাইরাসের(Virus) ঝামেলা লেগেই রয়েছে। করোনার দাপট কমলেও এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের রেহাই দেয়নি। তার উপর কলকাতা(Kolkata) জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো(Adeno) ভাইরাস। তার দোসর হয়েছে এইচ৩এন২(H3N2) ভাইরাস। এইচ৩এন২ ভাইরাসে ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়ে ভারতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন যদি জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগে থাকেন তাহলে বিষয়টি অবহেলা করবেন না। আরও যদি দেখেন দীর্ঘদিন কাশি হচ্ছে অথচ ওষুধের কাজ দিচ্ছে না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। করোনার পর চেনা পরিচিত ভাইরাসগুলি ধরা দিচ্ছে অচেনা রূপে। অ্যাডিনো ভাইরাস কিংবা এইচ৩এন২ ভাইরাস একেবারেই নতুন ভাইরাস নয়। এগুলি আগেও ছিল। হয়ত এর আগে আপনি এই ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছিলেন, কিন্তু তখন মারাত্মক ভাবে উপসর্গগুলি দেখা যায়নি। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়িতে আগে থেকে কয়েকটি টোটকা মেনে চলুন। আসলে এই টোটকা গুলিতে ব্যবহার কিছু ব্যবহৃত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সোয়াইন ফ্লু জাতীয় কিংবা এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে। শরীরে তৈরি করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
(১)প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু এক কোয়া রসুন গরম জলের সঙ্গে খেতে পারেন। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং এই ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন। পাশাপাশি এটি এই বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে।
(২)অ্যালোভেরা গাছ কমবেশি অনেকেরই বাড়িতে আছে। এটি বাজারেও পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা জল জলের সঙ্গে খেলে ত্বকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনাকে নানান ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
(৩)যদি দুধ খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা না থাকে তাহলে প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি গরম দুধের সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেন। হলুদ দুধ কয়েক দিন পান করার পর বুঝতে পারবেন অলসতা ভাব, ক্লান্তি ভাব খুব সহজেই দূর হয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি পানীয়।
(৪)নিত্য নতুন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে তুলসি পাতা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি তুলসি পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি আপনার শরীর ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাসের সঙ্গে সহজে লড়তে পারে।
(৫) গুলঞ্চ ভাইরাসের প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গুলঞ্চের শাখার সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা একসঙ্গে গরম জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে এই ধরনের ভাইরাস আপনার থেকে দূরে থাকবে। পানীয়টি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে ছেঁকে তবেই পান করতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী একটু গোলমরিচ এবং সৈন্ধব লবণ মেশাতে পারেন।
জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গগুলিকে একেবারেই হালকা ছলে নেবেন না। যদি উপসর্গগুলি দেখেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সময় আপনার খাদ্য তালিকায় বিশেষ কোনো খাবার যোগ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। নিজের ইচ্ছায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো ওষুধ খাবেন না। এক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করুন পুষ্টি সমৃদ্ধ তাজা সবজি এবং ফল। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণায়াম করতে পারেন।