।। প্রথম কলকাতা ।।
Adeno Virus: বঙ্গে রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। যার জেরে আতঙ্কিত সবাই। এই ভাইরাস সামান্য কিন্তু মারাত্মক হয়ে উঠছে শিশুদের (Children) শরীরে। যার কারণে বহু বাবা-মার শিশুকে বাড়ির বাইরে বার করতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে দুই থেকে নয় মাস শিশুরা এই ভাইরাসে বেশি ভুক্তভোগী। হাসপাতালের (Hospital) সামনে লম্বা লাইন। কোন কোন হাসপাতালে বেড পেতে মুশকিলে পড়ছেন অভিভাবকরা। শীতের (Winter) বিদায় বেলায় আচমকা অ্যাডিনোর দাপট থেকে কবে মুক্তি মিলবে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাডিনো কিন্তু একেবারেই নতুন ভাইরাস নয়। এটি অনেক পুরনো। এর আগে হয়তো আপনি বহুবার এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে ভাইরাল জ্বর হয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানে থাকা উচিত। এছাড়াও যারা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন কিংবা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অ্যাডিনো ভাইরাস ছোঁয়াচে। হাঁচি কাশির ড্রপলেট থেকে কিংবা অপরিষ্কার হাত থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অ্যাডিনো সংক্রমণের মূল উপসর্গ গুলি হল, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউরিনের সঙ্গে ব্লাড আসে।
অনেকেই মনে করছেন, হয়ত এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাডিনার দাপট কমবে। যার নেপথ্যে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে গরম। এমনি থেকেই বারংবার বলা হচ্ছে ২০২৩ এ অত্যাধিক গরম পড়তে চলেছে। এই গরম অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো হবে না। সাধারণত ঠান্ডায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষমতা থাকলেও গরমে অধিকাংশ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া তাদের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অ্যাডিনো ভাইরাস অনেক পুরনো। পরিবেশে আগেও ছিল, আগামী দিনেও থেকে যাবে। এটি মূলত অনেকটা ভাইরাল ইনফেকশনের মত। সারা বছরই এর অল্পবিস্তর প্রভাব দেখা যায়। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়তো অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট আর এক সপ্তাহ। বেশি তাপমাত্রা হলেই এই ভাইরাস আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়বে।
অ্যাডিনো থেকে বাঁচতে একটু সতর্ক থাকলেই হবে। এই সময় শিশুদের নিয়ে একটু ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলুন। বাইরে থেকে এলে অবশ্যই হাতমুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপরেই শিশুর কাছে যান। বাইরে পরে যাওয়া পোশাক আলাদা করে রাখুন। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। এই সময় শিশুদের থেকেও বড়দের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বড়দের এই ভাইরাস কাবু করতে না পারলেও বড়দের মাধ্যমে শিশুদের শরীরে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই বাড়িতে শিশু থাকলে এই কয়েকটা দিন একটু সাবধানে থাকুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম