।। প্রথম কলকাতা ।।
United Nation Report: গোটা বিশ্বের শুধুমাত্র মাতৃত্বকালীন জটিলতায় প্রতি ২ মিনিটে একজন মহিলার মৃত্যু (Death) হয়। রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্ট (Report) প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। গর্ভকালীন কিংবা প্রসবের সময় জটিলতার বিষয় একেবারেই নতুন নয়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ নারীর এই সমস্যায় ভোগেন। এবার রাষ্ট্রসংঘ (United Nation) এমন এক রিপোর্ট সামনে এনেছে যা সত্যি ভাববার বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০ বছরে গর্ভবতী মেয়েদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসব জটিলতার কারণে গত ২০ বছরে মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৩৪.৩ শতাংশ। ২০০০ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি এক লক্ষ জন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। ২০২০ সালে সেই পরিসংখ্যান অনেকটা কমে প্রতি এক লক্ষে মৃত্যু হয়েছে ২২৩ জন। তবে বর্তমানেও যে পরিসংখ্যান রয়েছে তা একেবারেই নিশ্চিন্তের নয়। কারণ ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত প্রসব জটিলতার কারণে প্রতি ২ মিনিটে একজন করে মহিলার মৃত্যু হচ্ছে। ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তেমনভাবে কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলারুশে এই ধরনের ক্ষেত্রে রেকর্ড পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এক্ষেত্রে বেলারুশের অবস্থা মোটামুটি ভালো। এখানে মাতৃত্বকালীন জটিলতায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯৫.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ভেনেজুয়েলার অবস্থা খুবই খারাপ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এখানেই হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ, আশাব্যঞ্জক এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত, তবে এটি এখনও লক্ষ লক্ষ মহিলার জন্য একটি বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা হিসেবে রয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু হয় সন্তান প্রসবের পর। প্রসবের পর ভারী রক্তপাত একটি বড় সমস্যা। জরুরি প্রসবের পর জরায়ু ফেটে যাওয়ার কারণেও মৃত্যু ঘটে। ভারতের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক বিলিয়ন ২০ কোটি জনসংখ্যার ভারতে প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন, কিন্তু সংগ্রহ করা হয় মাত্র ৯০ লাখ ইউনিট রক্ত। প্রায় ২৫ শতাংশ রক্তের ঘাটতি থেকে যায়। যার কারণে বহু রোগী প্রাণ হারান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম