।। প্রথম কলকাতা ।।
Sore Throat: ঋতু পরিবর্তনের সময়টা প্রায় প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে যাচাই করে। কারণ এই সময় প্রতিটি পরিবারে শিশু থেকে বড়দের মধ্যে জ্বর, সর্দি কাশি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যন্ত্রণা, গলা ব্যথা এই সমস্ত সমস্যা গুলি দেখা দেয়। যা অবশ্যই নতুন নয়। কিন্তু চলতি বছরে এক নতুন ভাইরাসের চোখ রাঙানি রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। করোনাভাইরাসের দাপটে যে ভয়ঙ্কর দুটি বছর কাটিয়েছেন মানুষ তা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো বেঁচে আছে। এরই মাঝে নতুন অ্যাডিনোভাইরাসের (Adeno Virus) বাড়বাড়ন্ত ক্রমশ শিশুদের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠছে। এর চরিত্র বদল নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য মহল।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে যদিও নির্দেশিকায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিন দিনের বেশি জ্বর, কাশি, জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার বিষয় গুলি উল্লেখ করা হয়েছে। এই একই ধরনের সমস্যাগুলি আবহাওয়ার খামখেয়ালির (Weather Change) জন্যও হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের কোনো সমস্যায় ভুগতে শুরু করলে মুড়ি-মুড়কির মতো সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং তার আগে ঘরোয়ার টোটকার ওপরেই কিছুটা ভরসা রাখা যেতে পারে। প্রথমে জানা দরকার অ্যাডিনোভাইরাস এবং ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব ছাড়া আর কী কী কারণে গলা ব্যথা (Sore Throat) হতে পারে।
গলা ব্যথার অন্যান্য কারণগুলি কী কী ?
গলায় ব্যথা এবং খুশখুশে কাশিতে ঢোক গেলা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। দূষণের কারণে কিংবা খুব গরম খাবার গিলে খেয়ে নেওয়ায় গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও গলায় যদি সামান্য আলসার দেখা দেয় কিংবা নির্দিষ্ট কোন খাবারে অ্যালার্জি থাকে তাহলেও গলা ব্যথার সমস্যা হয়। ঝাল অথবা খুব বেশি মশলাযুক্ত খাবার গলায় আলসার তৈরি করতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যাথার প্রতিকার :
১. গলা ব্যথার জন্য ভীষণ উপকারী হল হালকা গরম জলের নুন মিশিয়ে গার্গল করা। দিনে যদি এটা দুবার করা যায় তাহলে গলা ব্যথা এবং খুসখুসে কাশি দুটোই কমার সম্ভাবনা থাকে। আর সব থেকে ভালো বিষয় হল এর কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। বরং গলায় থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি গরম জলের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়।
২. গরম জলের সঙ্গে দু চামচ মধু মিশিয়ে যদি রোজ খাওয়া যায় তাহলেও গলার জন্য সেটা অত্যন্ত উপকারী। মধুতে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা গলায় সৃষ্টি হওয়া ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
৩. গলায় যদি ব্যথা, চুলকানি কিংবা ফোলা ভাব অনুভূত হয় তাহলে ঠান্ডা দুধ খাওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা দুধের মধ্যে ইলেকট্রোলাইট এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা গলাকে হাইড্রেটেড রাখে।
৪. এছাড়াও গরম জলে ভাপ নেওয়া যেতে পারে। এতে সাময়িক আরাম মেলে। কিন্তু তারপরেও যদি ব্যথা মারাত্মক বেড়ে যায় তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দুই থেকে তিন দিন ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগিয়েও যদি কোন উপকার না পাওয়া যায় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম