।। প্রথম কলকাতা ।।
Adeno Virus: কলকাতায় (Kolkata) রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। এই ভাইরাসের প্রভাবে আতঙ্কিত শিশুদের বাবা-মা। ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যা, আর তাতেই নাজেহাল ছোট্ট শিশুরা। এই সংক্রমণকে আটকানো যাচ্ছে না। শিশু হাসপাতাল গুলিতে দেখা গিয়েছে আইসিইউয়ের সংকট। অ্যাডিনো ভাইরাস কি? হঠাৎ করে গোটা কলকাতাকে কীভাবে গ্রাস করল? শিশুকে সাবধানে রাখতে আগে থেকে জেনে রাখুন উপসর্গ।
২০১৯ সালে এই ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০জন শিশুর। শিশুদের জ্বর সর্দি কাশিকে স্বাভাবিক ঠান্ডা লাগা বলে উড়িয়ে দেবেন না। হয়ত ভাবছেন শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত কিংবা আবহাওয়া বদলের কারণে অসুস্থ হয়েছে। গুরুত্ব দিচ্ছেন না অ্যাডিনো ভাইরাসকে। তাহলে কিন্তু ভুল করছেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। এই ভাইরাসের সঙ্গে বড়রা মোকাবিলা করতে পারলেও শিশুদের পক্ষে তা বেশ কঠিন। সম্প্রতি কলকাতা শহরে বহু শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যার কারণে চিন্তিত চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই বহু হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজন থাকলেও শিশুদের রাখতে হচ্ছে জেনারেল বেডে। এই ভাইরাসের অতিরিক্ত প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে ফুসফুসে। যার কারণে বড়সড় ঝুঁকি রয়েছে। যদি দেখেন শিশুর ঠান্ডা লেগেছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব শিশুদের বয়স দুই বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সে ক্ষেত্রে পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা লেগেই থাকে। পাশাপাশি গলা ব্যাথা হয়, চোখ ফুলে লাল হয়ে যায়। এছাড়াও রয়েছে শ্বাসকষ্ট আর নিউমোনিয়ার সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত দেড় মাসে এই ভাইরাসের জেরে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, আবহাওয়া বদল আর কম ইমিউনিটি পাওয়ারের কারণেই এই ভাইরাসের এত বাড়বাড়ন্ত। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আইসিইউ বেডের পাশাপাশি ভেন্টিলেটরের সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ছে। চেনা অসুখ যেন অচেনা রূপে ধরা দিচ্ছে। একবার কাশি শুরু হলে আর কাশি থামতে চায় না। মাসখানেক ধরে শিশু কাশতে থাকলে বিষয়টিকে হালকা ছলে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতের শেষ বেলায় ঋতু পরিবর্তনের কারণে সর্দি কাশি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে করোনার পর এই ভাইরাল রোগের প্রকোপ আগে থেকে অনেকটা বেড়েছে। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম