।। প্রথম কলকাতা ।।
Brain Stroke: প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে গুটিগুটি পায়ে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ আমাদের শরীরে এসে ঢুকছে। আর আমরা বুঝে উঠতেও পারছি না যে ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে আমাদের সাথে। তেমনি একটি রোগ হল ব্রেইন স্ট্রোক। এই অবস্থায় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কের টিস্যু অক্সিজেন এবং পুষ্টি পায় না যার ফলে দেখা দেয় স্ট্রোক। আপনার জীবনযাপনে এমন বেশ কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলি ক্রমশ ব্রেন স্ট্রোকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর আপনি জানতেও পারছেন না।
জন হপকিন্সের মত মেডিসিনের গবেষকরা জানাচ্ছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে উভয়ের মধ্যেই। বরং যদি তুলনা করতে হয় তবে বলা যায় মহিলাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। কারণ গর্ভনিরোধক ওষুধ গ্রহণ করেন মহিলারাই। আর তাতে রয়েছে ইস্ট্রোজেনের মতো হরমোন। যা স্ট্রোকের সম্ভাবনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এমন কতগুলি অভ্যাস রয়েছে যা ব্রেইন স্ট্রোক ডেকে আনতে পারে আপনার জীবনে। তাই অবশ্যই সেই বদ অভ্যাস গুলি জেনে নিয়ে থাকুন সতর্ক।
১. ধূমপান : প্রতিদিন ধূমপানের কারণে এমনিতেই শরীরের বহু ক্ষতি হয়। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতাও প্রভাবিত হয় এই ধূমপানের কারণে। এছাড়াও ধূমপান স্ট্রোকের ঝুঁকিকে প্রায় দ্বিগুণ করে তোলে।
২. মদ্যপান : যেকোনো নেশাই শরীরের পক্ষে অতিরিক্ত কখনই ভালো নয়। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে রক্তচাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. শারীরিক সক্রিয়তার অভাব: শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আজকের দিনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি নয় । সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে গেলে প্রতিদিন নিয়মমাফিক ব্যায়াম করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর যদি শরীর নিষ্ক্রিয় অবস্থাতেই থাকে তবে ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে ব্রেইন স্ট্রোক সহ আরও অন্যান্য ধরনের বড় অসুখের সম্মুখীন হতে পারেন যেকোনো মানুষ।
৪.এছাড়াও ব্রেন স্ট্রোকের কারণ হিসেবে হাই কোলেস্টেরল , ডায়াবেটিস , অনিয়মিত স্পন্দনকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্রেইন স্ট্রোকের চিকিৎসা
যে কোন ব্যক্তি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে অল্প কিছু হলেও তাঁর শরীরে লক্ষণ দেখা দেবে। সেই সময়ের মধ্যে যদি তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে । তবে কেউ স্ট্রোকের শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। সর্বপ্রথম চিকিৎসকরা ওই রোগীর মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ সচল করার চেষ্টা করবেন। যদি স্বাভাবিকভাবে তা সম্ভব না হয় তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম