।। প্রথম কলকাতা ।।
NDRF Returns from Turkey: টানা ১০ দিন পর তুরস্ক (Turkey) থেকে ভারতে (India) ফিরল এনডিআরএফ-এর দল। তুরস্ক আর সিরিয়ার ভূমিকম্পে (Earthquake) এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তুরস্ককে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যায় ভারতের এনডিআরএফ (NDRF) টিম। তারা দেশে ফিরে এসেছে। ডগ স্কোয়াডের সদস্য রেমবো, হানিও এই দলে রয়েছে। অপারেশন দোস্তকে সফল করার জন্য এনডিআরএফ এর কর্মকর্তারা ভারতে ফিরে আসা এনডিআরএফ জওয়ানদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্ক আর সিরিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূমিকম্পের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারত এনডিআরএফ এর দল পাঠিয়ে তুরস্কে অপারেশন দোস্ত শুরু করে। তুরস্কের মাটিতে এনডিআরএফ এর জওয়ানরা অত্যন্ত সাহসী কাজ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করেছেন জীবন্ত ছয় বছরের এক শিশু কন্যাকে। প্রায় ১০ দিন ধরে সফলভাবে অপারেশন দোস্ত চালানোর পর শুক্রবার এনডিআরএফ-এর দল ভারতে ফিরে এসেছে। এই দিন সকাল ন’টায় গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় NDRF কর্মীদের সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানটি। শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দিকে ভারত যেভাবে মানবাধিকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা প্রশংসনীয়। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে এনডিআরএফ কর্মীরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। যেখানে ছিল অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জাম, চিকিৎসা সরবরাহ, ড্রিলিং মেশিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। পাশাপাশি ছিল বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।
জওয়ানদের পাশাপাশি তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে উদ্ধারকার্যে সহায়তা করেছিল ভারতের চারটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সারমেয়। ভারতের তরফ থেকে উদ্ধারকার্যে ১০১ সদস্যের এই দলে সারমেয় গুলির গুরুত্ব কতটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এগুলির নাম জুলি, রোমিও, হানি এবং রেমবো। এই কুকুরগুলির ল্যাব্রাডর প্রজাতির। এরা গন্ধ শুঁকে পৌঁছে যেতে পারে নির্দিষ্ট স্থানে। ধ্বংসস্তূপের কোথায় মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে তা দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। মেক্সিকোতে যখন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তখনও উদ্ধারকাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল এই কুকুরগুলি।
NDRF এর কাজ হল প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে জড়িত বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা। দুর্যোগ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা। বছরের পর বছর দেখা গিয়েছে NDRF বিশ্বব্যাপী একটি নেতৃস্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছে। এই দলের প্রত্যেক সদস্যরা মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখে, যাদের কাছে নিজেদের জীবনের কোন মূল্য নেই। NDRF বারটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত। যা আধা সামরিক বাহিনীর মতো সংঘটিত। প্রতিটি ব্যাটেলিয়ানে মোট কর্মীর সংখ্যা ১১৪৯ জন। যখনই দেশ বা অন্য কোন দেশে ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিধস, ঝড়, বড় আকারের অগ্নিকাণ্ড, বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি দুর্যোগ ঘটেছে তখনই একটি শব্দ বারবার শোনা গিয়েছে, সেটি হল NDRF বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম