।। প্রথম কলকাতা।।
Drone Delivery In Kolkata: বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন খুব তাড়াহুড়ো করে। গন্তব্যে পৌঁছনের জন্য হাতে সময় বড্ড কম। অথচ রাস্তা জ্যামের কারণে আরও কিছুক্ষণ হয়ে গেল দেরি। এরকম পরিস্থিতিতে কখনও না কখনও প্রত্যেকেই হয়তো ভেবেছেন দুটো ডানা থাকলে বড্ড সুবিধা হতো। ভিড় রাস্তা পেরিয়ে আকাশ পথেই পাড়ি দিতেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এখনও পর্যন্ত যদিও এই ধরনের আবিষ্কার জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য টেকনোলজি করে উঠতে পারেনি কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিষেবা শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা- হাওড়ায় চালু হচ্ছে ড্রোন ডেলিভারি (Drone Delivery)।
অর্থাৎ কলকাতার (Kolkata) সদা ব্যস্ত রাস্তা গুলির ওপর দিয়ে উড়ে যাবে ড্রোন। আর সেই ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারি করা হবে ওষুধ কিংবা প্যাথলজি ল্যাবের নমুনা, হতে পারে রিপোর্ট এমনকি খাবার পর্যন্ত। কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফ থেকে এক ড্রোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই কলকাতা ও শহরতলির আমজনতা এবার কল্প বিজ্ঞানের স্বাদ নিতে চলেছেন বাস্তবে। দিল্লির একটি ড্রোন নির্মাণকারী সংস্থা TSAW Drones তাদের ব্যবসায়িক শাখা হিসেবে কলকাতাতে ড্রনেকো (Droneco) নামক একটি পরিষেবা চালু করতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah) কদমতলা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই ড্রোনের ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকবার। মাল ভরা বাক্স বহন করে নিয়ে গিয়েছে ড্রোনটি। ড্রোনটিকে প্যাথলজি ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা নিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আকাশপথে সেই দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। তাই পৌনে দুই ঘন্টার জায়গায় স্রেফ ১৫ মিনিটের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় মালবাহী ড্রোনটি। আর তারপর রিপোর্ট নিয়ে আবারও ফিরে আসে হাওড়ার কদমতলায়।
ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ড্রোন ডেলিভারি চালু হয়েছে। অ্যামাজনের মতো সংস্থাগুলিও সময় বাঁচাতে এবং দ্রুত ডেলিভারি করতে ড্রোন ডেলিভারির সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু এই ডেলিভারিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন ইলেকট্রিকের তার থেকে শুরু করে গাছের ডাল এবং ঘন বসতি একটা বড় সমস্যা। এছাড়াও কলকাতা শহরের মধ্যে একাধিক নো-ফ্লায়িং জোন (No Flying Zone) রয়েছে। কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার উচ্চতায় চলাচল করতে পারবে এই ড্রোনগুলি। আর ড্রোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কলকাতা বিমানবন্দর আলাদা করে একটি সেল তৈরি করা হয়েছে। তাই ড্রোন ওড়ানোর আগে অবশ্যই তাদের জানাতে হবে এবং তাঁরা বিমানের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময় ও রুট স্থির করবে। আপাতত এই ড্রোনের মাধ্যমে কলকাতা ও হাওড়ার কেবলমাত্র ১৪ টি স্থানে ডেলিভারি করা হবে ওষুধ , ল্যাব নমুনা ও রিপোর্টসহ রেস্তোরাঁর খাবার। পরবর্তীতে শহরে ড্রোন ডেলিভারি পরিষেবা আরও বিস্তার লাভ করে কিনা তা অবশ্য সময় বলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম