।। প্রথম কলকাতা ।।
Earthquake in Sikkim: সাতসকালে হঠাৎ করে কেঁপে উঠল সিকিম (Sikkim)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৪.৩। সম্প্রতি ‘ভূমিকম্প’ কথাটি শুনলেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তুরস্ক (Turkey) আর সিরিয়া (Syria) এই ভূমিকম্পের জেরে এখন মৃত্যুপুরী। স্বাভাবিক ভাবেই ভূমিকম্পের কারণে সিকিমের বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা এখন আতঙ্কিত। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Centre for Seismology) তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভোর চারটে ১৫ মিনিট নাগাদ সিকিমে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সিকিমের ইয়কসমের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সিকিম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, এই ভূমিকম্পের জেরে কোন প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে আশঙ্কা রয়েছে অন্য জায়গায়। যেহেতু পার্বত্য এলাকা, তাই আফটার শক এবং তার কারণে ভবনগুলিতে ফাটল ধরতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত গোটা পাহাড়বাসী থেকে শুরু করে পর্যটকরা। বহু মানুষ সেই সময় আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তুরস্কের ভূমিকম্পের পর কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বেশ কয়েকটি দেশ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত ছিল ভারতও। রবিবার অসমে ভূমিকম্প হয়েছে, তখন রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪। সেই ঘটনায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোন ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে শনিবার লাদাখে কারগিল থেকে প্রায় ৩৪৩ কিলোমিটার উত্তরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২। শুক্রবার মাঝরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল গুজরাটের সুরাট। তখন রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৮।
সম্প্রতি সিকিমে যে ভূমিকম্পটি ঘটেছে তা গ্যাংটক থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে। সাধারণত এই জায়গায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক বেড়াতে যান। ভূমিকম্পটির উৎস মাটি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক আর সিরিয়ায় এখনো মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এখনো পর্যন্ত উদ্ধারকার্য অব্যাহত। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ভূমিকম্পে মৃত্যু হতে পারে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম