।। প্রথম কলকাতা ।।
Bishnupur Tourism: লাল মাটির জায়গা বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) এদিক-ওদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বহু স্থাপত্য। এই স্থাপত্য গুলি ইতিহাস বহন করে চলেছে তাদের মধ্যে। বিষ্ণুপুরের বহু স্থাপত্য বর্তমানে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে রয়েছে। এই বিষ্ণুপুরে মল্লরাজাদের নির্মিত একটি বহু প্রাচীন নিদর্শন হল গুমগড়। কিন্তু দর্শনীয় এই গুমগড়কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক মুনাফা লাভের জন্য তাঁর উল্টোদিকেই একটি লজ (Lodge) তৈরি করা হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি এমনটাই দাবি করা হয় বিষ্ণুপুর পৌরসভার তরফ থেকে। বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও লজ মালিকের কোনোরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই এবার পুরসভার তরফ থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লজটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষ্ণুপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার গুমগড়ের ঠিক উল্টোদিকে এই বেআইনি লজ নির্মাণ করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। এমনটাই জানা গেছে সূত্র মারফত। বিষয়টি নজরে আসার পরই পুরসভার তরফ থেকে তাকে দুই দফা নোটিশ দেওয়া হয়। পুর আইন অনুযায়ী দেওয়া নোটিশের পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি লজ মালিক। যার কারণে তৃতীয়বারের জন্য ওই লজের মালিককে নোটিশ দিল বিষ্ণুপুর পৌরসভা (Bishnupur Municipality)। সেই নোটিশে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি ভেঙে না ফেলা হয় তাহলে এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে বিষ্ণুপুর পৌরসভা।
পুর আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানা যায়, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে এই গুমগড় স্থাপত্যটি না থাকলেও ওই এলাকায় রয়েছে শ্যামরায় মন্দির এবং জোড় বাংলা মন্দির। বেশ কয়েকদিন আগে জঙ্গল সাফাই করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় গুমগড়ের আশপাশ। একটি বোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয় সেই জায়গাটিতে। বর্তমানে ওই জায়গায় বহু পর্যটকরা আসেন প্রতিদিন। কিন্তু সেই পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য তার কাছেই একটা কংক্রিটের লজ নির্মাণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিষ্ণুপুর পৌরসভা। যার কারণে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের গা ঘেঁষে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যাবে না এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম