৷৷প্রথম কলকাতা৷৷
G-20 Summit: বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে ভারতবর্ষের ভাবমূর্তি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ জি-২০ সম্মেলনের মতো এত বড় দায়িত্বে ভারতকেই কেন বেছে নেওয়া হল? যুদ্ধের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিল কূটনীতি আসলে কাকে বলে৷ বিশ্ব যেন এখন দু অক্ষে ভাগ৷ একদল আমেরিকার পক্ষে, একদল হাঁটছে চিনের পিছনে পিছনে৷ ভারতবর্ষ স্বতন্ত্র হয়েও যে ছাপ রাখতে পারে বিশ্বের দরবারে৷ আবারও আবারও প্রমাণ হয়ে গেল সেটাই৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ৷
বিশ্বের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ দেশই রাশিয়া বা ইউক্রেনের মধ্যে কোনও না কোন এক পক্ষকে সমর্থন করেছে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে উগড়ে দিয়েছে ক্ষোভ৷ কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই এমন একটা অবস্থানে ছিল যা আজ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে আসলে সেটা ঠিক না ভুল? ভারত রাশিয়া বা ইউক্রেন কারোর পক্ষই নেয়নি, কারোর বিরোধীতাও সেসময় করেনি৷ কিন্তু এবারের জি ২০ সম্মেলনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন একটা কাজ করে দিলেন যেটা অবিশ্বাস্য বলছেন বিশ্বের কূটনৈতিক মহল৷ ইন্দোনেশিয়া নমোর হাতে তুলে দিল অনেক বড় দায়িত্ব৷ ভারতবর্ষকেই আগামী দায়িত্ব নিতে হবে৷ তবে চ্যালেঞ্জ কিন্তু অনেকটাই বড় বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা
১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে৷ কিন্তু তাতে এমন কি লাভ হবে ভারতবর্ষের? এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জই বা কি কি থাকছে? মোদি বিশ্বমঞ্চে বলেছেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভারত প্রভূত উন্নতি করেছে৷ একইসঙ্গে রাশিয়ার হাতটা ধরেই পুতিনকে মোদী বার্তা দিলেন এটা যুদ্ধ করার সময় নয়৷ এর মানে সোজা কথায় বন্ধুত্ব ভাঙার প্রশ্নও নেই কিন্তু বন্ধুকে বুঝিয়ে দেওয়া দেখো আমি কি চাইছি৷ আমেরিকার মুখে ভারতের ঠিক এই নীতিরই প্রশংসা৷ বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে গঠিত হয়েছিল গ্রুপ অব টুয়েন্টি বা জি-২০৷ বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির ফোরাম জি-২০৷ আর সেখানের সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম তারগুলো জুড়ে ফেলার কাজটাই করতে হবে ভারতকে৷ চাপটা অনেকটাই৷
গত কয়েক মাসে জি-২০ গোষ্ঠীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ অভ্যন্তরীণ ফাটল ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই বিভেদ দূর করতে হবে। ভিন্নমতের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ করতে হবে৷ নয়া দিল্লিকে এমন কিছু নীতি তৈরি করতে হবে যেগুলির বিষয়ে সকল সদস্য দেশ ঐক্যমত হতে পারে৷ এর সঙ্গে রয়েছে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা৷ আইএমএফ, ডব্লিউটিও-র মতো অর্থনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামগুলির সঙ্গে যৌথভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে ভারতকে। এখানেই শেষ হয়ে যায় না দায়িত্ব৷ ইমেজ বাড়ছে গুরুত্ব বাড়ছে, দায়িত্ব আরও কয়েকগুণ৷ অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে একটি জি-২০-র নীতি নির্ধারণের মতো চ্যালেঞ্জ৷
ভারত যদি একবার এই পরীক্ষায় সফল হয়ে যায় তাহলেই বড়সড় প্রাপ্তি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগ ভারতকে বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্বদানকারীর ভূমিকায় উন্নীত করবে ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন পেতে সুবিধা হবে ভারতের৷ যে দেশে নরেন্দ্র মোদীর মতো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব থাকে ও এস জয়শঙ্করের মতো বিদেশমন্ত্রীর কূটনীতি সে পথে ভারত সফল হবেই হবে আশা রাখে ভারতবাসী৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম