।। প্রথম কলকাতা ।।
Baruipur Murder: দিল্লির মেহরৌলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। ঠিক সেই ঘটনাটির ছায়া এবার দেখতে পাওয়া গেল এই রাজ্যে বারুইপুরে। এক প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীদের সন্দেহই হল সত্যি। ওই নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে শ্বাস রোধ করে খুন করার পর করাত দিয়ে ছয় টুকরো করা হয় দেহের। আর তারপরে তা ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং ছেলেকে।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
বারুইপুরের বাসিন্দা উজ্জ্বল চক্রবর্তী গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ, এই মর্মে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বারুইপুর থানায় পুলিশ ডায়েরি করেছিলেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলে বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর- মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহ। এরপর পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে উজ্জ্বল চক্রবর্তী ছেলে এবং স্ত্রীয়ের উপরে। লাগাতার তাদেরকে জেরা করা হয়। যদিও প্রথমটায় কিছুই স্বীকার করতে চাননি তাঁরা । কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙ্গে পড়েন উজ্জ্বলের স্ত্রী এবং ছেলে। তাঁরা স্বীকার করেন যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল উজ্জ্বলকে।
পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন উজ্জ্বল। এর আগেও মদ্যপ অবস্থায় তিনি স্ত্রী-ছেলের উপরে অত্যাচার করতেন বলে ছেলের ক্ষোভ ছিল আগে থেকেই। ওইদিন বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে যায় । গত সোমবার বছসা চলাকালীন আচমকাই উজ্জ্বলকে ধাক্কা দেন তাঁর ছেলে। আর তারপরে খুন করা হয় তাকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে উজ্জ্বলের দেহের ছয় টুকরো করা হয়। আর তারপর সেই টুকরো গুলিকে সাইকেলে চাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসতে শুরু করে তাঁর ছেলে। এই ঘটনার নৃশংসতায় রীতিমত হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, সারা দেশজুড়ে বর্তমানে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসা হয়েছিল ধাপে ধাপে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম