।। প্রথম কলকাতা ।।
Turkey Earthquake: তুরস্ক (Turkey) এখন মৃত্যুপুরী। ভোর রাতে যখন মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল তখন আচমকা কেঁপে ওঠে তুরস্ক। হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শতাধিক বাড়ি। উদ্ধারকার্য যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছে প্রচুর মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার পেরিয়েছে। দেশটিতে এখন চারিদিকে শুধু হাহাকার। এত বড় যে বিপর্যয় ঘটতে চলেছে, তা আগে থেকেই টের পেয়েছিল পাখিরা। তার সংকেতও দিয়েছিল। এমনটাই দাবি করছে একটি ভিডিও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এমন একটি ভিডিও, যা দেখে একটু অবাক হবেন।
সোমবার ভোরে হঠাৎ করেই তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে গাজিয়ানটেপ (Gaziantep) এলাকা কেঁপে ওঠে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভিসের (US Geological Service) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৪টে ১৭ মিনিট নাগাদ এই এলাকার প্রায় ১৭.৯ কিলোমিটার অঞ্চল তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। আপাতত গোটা দেশ জুড়ে ভূমিকম্পের আতঙ্ক। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দেশটি পেয়েছে ভূমিকম্পের আফটার শক। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের মাত্রাটিও কম জোরালো ছিল না, রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৭। এই ভূমিকম্পের নয় ঘন্টার পর তুরস্ক আবার কেঁপে ওঠে।
তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৮ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ভূমিকম্পের ঠিক কয়েক মিনিট আগে তৈরি করা একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে পাখিরা নাকি ভূমিকম্প আগে থেকে অনুভব করতে পারে। এই ভাইরাল ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে OsintTv তে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট আগে থেকেই পাখিরা খুব অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। ভোরবেলা অন্ধকারে এদিক-ওদিক পাখিরা উড়তে শুরু করেছিল। অনেক পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে নিজেদের বাসা ছেড়ে অন্য গাছে বসতে থাকে। ইতিমধ্যে ভিডিওটি প্রায় তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একমত যে এটি প্রকৃতির একটি অ্যালার্ম অর্থাৎ ভূমিকম্পের আগমন পাখিরা আগেই অনুভব করেছিল। কথিত আছে, পাখির পাশাপাশি পশুরাও নাকি আগে থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ টের পায়।
উন্নত প্রযুক্তির আশীর্বাদে বিজ্ঞানীরা অনেক জটিল কাজ হাতের মুঠোয় করে ফেলেছেন, কিন্তু ভূমিকম্পের পূর্বাভাস এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় না। কথিত আছে পশু পাখিরা নাকি তা আগে থেকেই টের পান। ১৯৭৫ সালে চীনের হাইচেং নামক একটি প্রদেশ ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু সেই ঘটনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। সেই সময় চীনের বিশেষজ্ঞরা পূর্বভাস দিয়েছিল যে কিছুদিন ধরেই নাকি ওই অঞ্চলে জলের স্তরের তারতম্য দেখা যায়। পাশাপাশি পশু পাখিদের মধ্যে এক অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তাই আগে থেকে সবাই সতর্ক হয়ে যায় প্রাচীনকালে জাপানি মাঝিরা মনে করতেন, সমুদ্রের মাঝখানে যদি কোন উড়ুক্কু মাছ দেখা যায় তাহলে নাকি কয়েকদিনের মধ্যেই বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসতে পারে। ১৮৫৭ সালে ইতালিতে ভূমিকম্পের আগে ঝাঁকে ঝাঁকে পায়রা উড়তে শুরু করেছিল। পায়রা শূন্য হয়ে গিয়েছিল জেনোয়া শহর। আসলে তারা ভূমিকম্পের আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
Nature’s alarm system. We are not sufficiently tuned in to nature to hear it… https://t.co/jzjkQxCxsR
— anand mahindra (@anandmahindra) February 6, 2023
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম