।। প্রথম কলকাতা ।।
Turkey Earthquake: সোমবার ভোরে ভূমিকম্পের পর আবার কেঁপে উঠল তুরস্ক (Turkey)। রীতিমত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশটি। ভূমিকম্পের (Earthquake) একটার পর একটা ঘা মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বাড়িয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। ৫ ঘণ্টায় তুরস্ক-সিরিয়ায় আফটার শক হয়েছে প্রায় ২২ বার। সোমবার (Monday) দুপুরে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬। এখন তুরস্ক যেন মৃত্যু উপত্যকা। বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে দাঁড়াল ভারত। সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তিনি টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। নিহতদের পরিবারের প্রতি তাঁর সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তুরস্ক ও তুরস্কের মানুষের পাশে রয়েছে ভারত। এই বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে ভারত যথাযথ সাহায্য করবে। দিল্লি ভারত থেকে ত্রাণ ও চিকিৎসার সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১০০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল ভারত থেকে তুরস্ক ও সিরিয়াতে যাচ্ছে। শুধু ভারত নয়, পাশাপাশি তুরস্কের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা, ইজরায়েল, ইউক্রেনের মতো প্রচুর দেশ।
তুরস্কে ফিরে এসেছে সেই ৮৪ বছর আগেকার ভয়াবহ স্মৃতি। হঠাৎ করে তুরস্ক আবার কেঁপে উঠেছে ৭.৮ ভূমিকম্প মাত্রায়। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আহত প্রায় আড়াই হাজারের বেশি। এখনো পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। প্রায় ৮৪ বছর আগে তুরস্ক ঠিক একই মাত্রায় কেঁপে উঠেছিল। তখনও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পৃথিবীর মধ্যে তুরস্ক অন্যতম একটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তুরস্কের বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান আর উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে তুষার ঝরে আটকে গেছে বহু সড়ক। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৪৫ জন। অন্যান্য প্রদেশ মিলিয়ে নিহত হয়েছে প্রায় ২৩৭ জন। ঘন ঘন পরিবর্তন হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যার আপডেট। এই ঘটনা আরেকটি অভিশপ্ত দিনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, তা হল ১৯৯৯ সাল। সেই সময় সিরিয়া আর তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে উঠেছিল। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দশ হাজার বেশি মানুষের। সেই কম্পন কারোর কাছে কোসায়েলি কম্পন, কারোর কাছে গোলকুক কম্পন, আবার কারোর কাছে ইজমিত কম্পন নামে পরিচিত। সেই সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল দুটি গ্রাম। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই স্মৃতিই যেন উস্কে দিচ্ছে ২০২৩ এর ৬ ফেব্রুয়ারির ভোরের ঘটনা।
তুরস্কের মানুষ ভূমিকম্পের সঙ্গে বেশ পরিচিত। মূলত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক এতটা ভূমিকম্পপ্রবণ। এর পিছনে রয়েছে টেকটোনিক প্লেট। তুরস্কের মূল অবস্থান আনাতোলিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর। এছাড়াও দেশটির কিছুটা অংশ রয়েছে ইউরেশিয়ান আর আফ্রিকান টেকটোনিক প্লেটের উপর। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে অ্যারাবিয়ান প্লেট। তবে সব থেকে ভয়ের হল, টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল উত্তর আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন। যেখানে রয়েছে তুরস্কের উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। যত বার তুরস্ক ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে তার পিছনে অন্যতম কারণ হলো এই ফল্ট লাইনের বিচ্যুতি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম