।। প্রথম কলকাতা ।।
Aindrila Sharma: বান্ধবী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে করা সমস্ত পোস্ট মুছে ফেললেন সব্যসাচী। কী এমন হল যে এই পদক্ষেপ নিতে হল তাঁকে? কীসের ইঙ্গিত দিতে চাইচছেন তিনি? শুক্রবার রাতে তাঁর ফেসবুক পোস্ট আশার আলো দেখিয়েছিল সকলকে। কিন্তু শনিবার অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে অভিনেত্রীর শুভানুধ্যায়ীদের। ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। তবে সেটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ভেন্টিলেশনে থাকায় তাঁর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু এর মাঝে অভিনেত্রীর ছায়াসঙ্গীর ফেসবুকের পোস্ট ডিলিট করে দেওয়ার পর চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অগনিত মানুষ।
শুক্রবার ফেসবুকে অভিনেতা লিখেছিলেন, “কয়েক হাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য এতখানি লেখা প্রয়োজন ছিল। একটু কষ্ট করে পড়ে নিও। পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে তো নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস”। লম্বা পোস্টে অভিনেতা লেখেন, “ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন, হসপিটালের নিচে পুলিশ পোস্টিং, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কিছু উত্তেজিত ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন নিচে ঘোরাঘুরি করছেন। শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরোসার্জেনকে ডেকে আনা হলো, তিনি খানিক নাড়াচাড়া করে জানালেন যে, ও চলে গেছে অনেক আগেই। শুধু শুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? লেট্ হার গো পিসফুলি”। আর সামাজিক মাধ্যমে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে এই সকল অনুভূতি হঠাৎই মুছে ফেললেন সব্যসাচী। শেয়ার করেছিলেন সেইসব মানুষদের কথা ভেবে, যাঁরা তাঁর জন্য নিয়মিত প্রার্থনা করে চলেছেন। তাঁদের মুখ চেয়ে শুক্রবার রাতে পোস্ট করেন অভিনেতা।
তিনি লেখেন, “বিকেলের পর দেখলাম হাত, পা, মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার, শরীর ঠান্ডা। হার্ট রেট কমতে কমতে ৪৬, বিপি ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই মাথায় ঘুরছিলো, আর নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল। ওর মাকে বললামও কি দরকার ছিল এত কিছু করার, শান্তিতে যেত। কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি, মায়ার টান বড় কঠিন”। আর এই সমস্ত কিছুর মাঝে ঘটল সেই অলৌকিক ঘটনা। ঠিক রাত আটটায় হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। সব্যসাচী বলছেন, “খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে”। এই পোস্ট দেখেই সকলের মনে আশা জেগেছিল। কিন্তু শনিবার হঠাৎ তা ডিলিট হতেই ফের চিন্তায় পড়েছেন সবাই। প্রশ্ন উঠছে, আচমকাই কেন এমন করলেন তিনি?
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ঐন্দ্রিলা। দু’বার ক্যান্সারকে জয় করে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। প্রথমে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হলেও, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। তারপর ফের আবার চলতি সপ্তাহে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। একবার নয় একাধিকবার। পুরোপুরি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়। দু’দিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলেই জানানো হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে। কিন্তু গতকাল রাতে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী হাত নাড়িয়েছেন। আর তাতেই অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু এবার অভিনেতার পোস্ট ডিলিট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন দানা বেঁধেছে সকলের মনে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম