।। প্রথম কলকাতা ।।
Visva Bharati University: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন বিগত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যদিও তার নেপথ্যে সবথেকে বড় কারণ ছিল ছাত্র বিক্ষোভ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) এবং ছাত্রদের মতবিরোধিতার কারণে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। ছাত্রদের তরফ থেকে লাগাতার বিশ্বভারতী চত্বরে ধর্না চালিয়ে যাওয়া হয়। ঘেরাও করা হয় বিশ্বভারতী উপাচার্যের কার্যালয়। মাঝে কিছুদিনের জন্য বিশ্বভারতী শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও ছাত্র বিক্ষোভ (Student Agitation) দেখতে পাওয়া গিয়েছে সেখানে।
নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত খবর সূত্রে জানা যায়, এদিন টিএমসিপি (TMCP) এর তরফ থেকে ছাত্র বিক্ষোভ হয়। শান্তিনিকেতনে প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়াদেরকে পথ অবরোধ করতে দেখা যায়। এই প্রতিবাদের মূলে রয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কিছু মন্তব্য। বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সকল মন্তব্য করা হয়েছে তাঁর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্ররা। ঘটনার সূত্রপাত হয় মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে কেন্দ্র করে। চারদিনের সফরে বেরিয়ে বিগত সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার প্রথমে বীরভূমে গিয়ে পৌঁছান। তিনি সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) সাসপেন্ড হওয়া কিছু ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপরই পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলেও জানান। বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকবেন এমনটাই আশ্বাস দেন। এছাড়াও পড়ুয়াদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এই মতো পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য পেশ করা হয়। তিন পাতার ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনে ছাত্র বিক্ষোভ চোখে পড়ে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম