।। প্রথম কলকাতা ।।
Gorakhnath Temple Attack: পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। নাম মুর্তজা আব্বাসি। গত বছর এপ্রিলে তিনি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলা চালিয়েছিলেন। সেখানে মোতায়ন নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। এই ঘটনায় দোষী মুর্তজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) দিয়েছে এনআইএর (NIA) বিশেষ আদালত।
উত্তর প্রদেশের পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানান, মুর্তজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী। মুর্তজার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি জঙ্গি দলের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য করতেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি জানান, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তার যোগ ছিল। ছাত্র হিসেবে বেশ মেধাবী ছিলেন। গোরক্ষপুরের বাসিন্দা মুর্তজা ২০১৫ সালে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তারপর সব ঠিকঠাকই চলছিল। তিনি প্রায় দুটি সংস্থায় কাজও করেন। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকেই নাকি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এমনটাই দাবি পরিবারের। মানসিক সমস্যার কারণেই তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তারপর গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে পড়েন। তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে।
চূড়ান্ত সাজা ঘোষণার আগে প্রায় ৬০ দিন রেকর্ড শুনানি হয়েছে। শাস্তি হিসেবে মুর্তজাকে ১২১ নম্বর ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ৩৬০ নম্বর ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মুর্তজার বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। তিনি নাকি জওয়ানদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন এবং তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়াও তার কাছ থেকে প্রচুর সন্দেহজনক নথি পাওয়া গিয়েছে।
‘লাইভ হিন্দুস্তানের’ তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিচার আদালত ২০২২ সালে প্রায় ১৬৫ জন বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে প্রায় ১৪৬ জন বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আদালত কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডের এক তৃতীয়াংশ যৌন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আদালতে দেওয়া সিদ্ধান্তের মৃত্যুদণ্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম