।। প্রথম কলকাতা।।
Weather Change: জানুয়ারি মাসে যেমন ঠান্ডা হওয়ার কথা ছিল তেমনটা কিন্তু একেবারেই হয়নি। বদলে জানুয়ারির শেষের দিকে অন্যরকম ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে ।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে । আর ভিড় বাস ট্রেন চেপে বাড়ি ফেরার পরে আশ্রয় নিতে হচ্ছে ফ্যানের নিচে । এমন আবহাওয়া ( Weather) থাকার কথা নয় শীতে। এত তাড়াতাড়ি পাততাড়ি গুটিয়ে শীত ( Winter) রাজ্য ছাড়া হল তা নিয়েও বঙ্গবাসীর আলোচনার শেষ নেই।
আবহাওয়ার এই ওঠানামা ( Weather Change ) আপাতত চলবে , এমনটাই বলছে আবহাওয়া দফতর । ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও আবারও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। অর্থাৎ এই বছরের মত হাড় কাঁপানো শীতের আশা ছাড়তে হবে বঙ্গবাসীকে। কিন্তু সমস্যা হল শীতকালে যদি ঠিক হবে ঠান্ডাই না পড়ে, বদলে যদি গরম অনুভুতি মেলে তাহলে মুশকিল। এই ধরনের আবহাওয়াই বিভিন্ন অসুখ ডেকে আনতে পারে । আবহাওয়ার বদল কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে জ্বর সর্দি কাশি, পেট খারাপের মতো একাধিক সমস্যার।
হঠাৎ করে রাতের দিকে ঠান্ডা লাগছে, আবার দিনের বেলায় গরম লাগছে। এমনিতেই শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রোগের উপদ্রব শুরু হয়। তার উপরে এইভাবে আবহাওয়ার বদল আরও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। পারদ ওঠানামার কারণে প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । তাই সুস্থ থাকতে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সঙ্গে লড়াই করতেই হবে। আর মাথায় রাখতে হবে বিশেষ কয়েকটি দিক।
* কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন ?
১. হালকা গরম অনুভূত হলেও ঠান্ডা কিন্তু পুরোপুরি যায়নি। এই কারণে সন্ধ্যা বা রাতের দিকে বাড়ির বাইরে বেরোলে মোটা পোশাক না পড়লেও পাতলা চাদর সঙ্গে রাখুন।
২. এই সময় বাইরের খাবার যতক্ষণ না খাওয়া যায় ততটাই ভালো কারণ আবহাওয়ার বদলে পেট খারাপের সমস্যা দেখা দেয় । বাইরের তেল মশলা ভাজাভুজি খাবার খেলে সেই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩. শীতকালে ঠান্ডার কারণে যারা অ্যালার্জিতে ভোগেন তাঁরা এই সময় অন্ততপক্ষে আইসক্রিম বা সফট ড্রিংস কিছু খাবেন না । তাতে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
৪. গরম লাগলেও মনে রাখতে হবে এটা শীতকাল । কাজেই হঠাৎ করে ফ্যান চালিয়ে দেওয়া কিংবা এসি চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। এছাড়াও হালকা গরম লাগছে মানে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে না।
৫. ঠান্ডা জল (Cold Water) খেতে পারবেন না বলে জল খাওয়া ছাড়ার কিন্তু কোন প্রয়োজন নেই। শীতকালে এমনিতেই জল খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। সেই ঘাটতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম